শীতলকুচি-কাণ্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। তার উপর নতুন করে বিতর্ক বাধিয়েছে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরানগরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচির মতো ঘটনা ঘটবে। তারপরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার আসরে নেমেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অভিষেক বিজেপিকে আক্রমণ করে উত্তর দমদমের সভা থেকে বলেছেন, নির্মম, নৃশংসভাব চারজন নিরীহ যুবককে গুলি করে মেরেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁদের অপরাধ শুধু এই যে, তাঁরা বাংলার মানুষ, বঙ্গবাসী। যাঁদের গুলি করে মারা হয়েছে তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। তাও তাঁদের গুলি করে মারা হয়েছে। যদি আত্মরক্ষার জন্য মারতেন তা হলে হাতে মারতেন, আকাশে গুলি করতে পারতেন। ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যেত। কিন্তু তা করে না বুকে গুলি করা হয়েছে।
এরপরই তৃণমূল সাংসদের হুঁশিয়ারি, যাঁদের অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ হয়েছে, আগামিদিনে তাঁদের খুঁজে বের করা হবে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, "যত বড় মাথাই থাকুক না কেন ঠিক টেনে খুঁজে বের করব। নন্দীগ্রামের পর গত ১০ বছরে এমন নৃশংস গণহত্যা বাংলায় আর হয়নি।" এরপরই দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, "প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমার হাতজোড় করে অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যদি ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকে, আগামী কাল সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেখান। আপনাদের কোনও ইন্ধন নেই প্রমাণ করতে হবে। যদি না করেন আপনার রাজ্য সভাপতির কথাই কিন্তু মানুষ মেনে চলবে।"
প্রসঙ্গত, এদিন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্ণো মিত্রের সমর্থনে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’