/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/08/Abhishek-Banerjee.jpg)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Parliament Monsoon Session: সংসদীয় রীতি ভাঙার দায়ে দিনের মতো সাসপেন্ড তৃণমূলের ছয় সাংসদ। আর এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনায় সরব হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ডের ঘটনা প্রমাণ করে বিজেপির ৫৬ ইঞ্চির গড ফাদার পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তোমরা আমাদের সাসপেন্ড করতেই পারো, কিন্তু নীরব করতে পারবে না। সত্যের জন্য এবং মানুষের জন্য লড়াইয়ে এক পা পিছু হটবো না।‘
এর আগে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য একসঙ্গে ৬ তৃণমূল সাংসদ সাসপেন্ড হলেন। সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু দিনের মতো এই ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনার দাবিতে সংসদের ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন।‘ চেয়ারম্যান বারবার সংযত হতে বললেও, তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বারবার তাঁদের সতর্ক করেন। নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু তাতেও চলতে থাকে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তখনই সংসদীয় রীতি ভেঙে বিক্ষোভ দেখানোয় শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷ কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান৷
The crackdown on our MPs clearly indicates that @BJP4India's 56-inch GODFATHER has CONCEDED DEFEAT!
YOU CAN SUSPEND US BUT YOU CANNOT SILENCE US!
We will not budge an inch to fight for our people & to fight for the truth.
Until the last drop of our blood -
BRING IT ON! pic.twitter.com/7MvM6saDIH— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) August 4, 2021
ফলে বুধবার আর অধিবেশনে অংশ নিতে পারছেন না হলেন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম বেনজির নূর, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক এবং অর্পিতা ঘোষ৷ সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনার দাবিতে সরব বিরোধীরা। যদিও সরকার বলেছে, পেগাসাস নন-ইস্যু। জনস্বার্থে যেকোনও বিষয়ে আলোচনায় রাজি তারা। কিন্তু তাতেও দমেনি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবির। সংসদের ভিতর-বাইরে নানা ইস্যুতে মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ব্রেকফাস্ট পে চর্চা হয়েছে। সেদিন আবার পেট্রোপণ্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেলে করে সংসদ ভবন অবধি যাত্রা করেন বিরোধী দলের সাংসদরা।
এই আবহে বিরোধী হট্টগোলে বুধবার দু’টো পর্যন্ত প্রথমে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করে দেওয়া হয়৷ দু’টোর সময় ফের অধিবেশন শুরু হলে আর আলোচনায় অংশ নিতে পারেননি সাসপেন্ড হওয়া টিএমসি সাংসদরা৷ এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে কাগজ কেড়ে ছিঁড়ে ফেলার দায়ে জন্য গোটা বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড শান্তনু সেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন