বোমা ফাটিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাতগাছিয়ায় তার পাল্টা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখে নিলেন না দলেরই বিধায়কের নাম।
মন্ত্রী শুভেন্দু ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামে বলেছিলেন, 'আমি প্যারাসুটে নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি। জনপ্রতিনিধি হতে গেলে ধৈর্য আর সহ্য এই দুটো ক্ষমতা থাকা দরকার। আমার সহ্য করার ক্ষমতা আছে তাই সহ্য করি। কোনও সমস্যা নেই। আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, এবং ভবিষ্যতেও থাকব।' কারোন নাম নেননি তিনি, তবে ইশারাই কাফি। তাঁর নিশানায় ছিল দলীয় নেতৃত্বই।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা শাসক দলের যুব সংগঠনের সভাপতি বলেন, 'তৃণমূলে কেউ লিফটে ওঠেনি-প্যারাশুটে নামেনি। যদি হত তাহলে দল এত বড় হত না। তৃণমূল মানে মাটির দল। এখানে লিফটে বা প্যারাশুটে ওঠা-নামা যায় না। আর যদি তাই হয় তবে তার পতন অবশ্যম্ভাবী।'
মুখে নাম না নিলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যেয়র ইঙ্গিত যে তৃণমূলের নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিষয়ে এদিন সোচ্চার ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। লিফটে ওটা-প্যারাশ্যুটে নামা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, 'লিফটে উঠলে ডায়মন্ড হারবারে নয়, দক্ষিণ কলকাতায় ভোটে দাঁড়াতাম। দলের একাধিক পদে থাকতাম। কিন্তু দল বলেছে বলেই আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়েছি। তার আগেও এখানে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি (প্রয়াত সোমেন মিত্র) সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন। তারপর আমার কাছে অনেকেই অনেক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমি এলাকা ছেড়ে যাইনি।' দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মানে মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'দলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কর্মীরা আগামিতে কড়ায়-গন্ডায় তার জবাব দেবেন।' এক্ষেত্রেও তাঁর নিশানায় দলের 'বিদ্রোহী'রা।
দলে থেকে অনেকেই খারাপ কাজ করছেন বলেও দাবি করেন যুব তৃণমূলে সভাপতি। ডায়মন্ড হারবারে আর দলবিরোধী কাজ সমর্থন করা হবে না বলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ার করেছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের দূরত্ব গত কয়েক মাস ধরেই বেড়েছে। অরাজনৈতিক মঞ্চে একেরপর এক সভা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন। পড়তে হয়েছে পাল্টা আক্রমণের মুখেও। সমস্যা সমাধানে সাংসদ সৌগত রায়ের মধ্যস্থতাও কাজে আসেনি। গত শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু। তবে এখনও দলে রয়েছেন। তার মধ্যেই শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেকের বোমা জোড়া-ফুলের অন্দরেই কয়েক প্রস্থ চর্চা বাড়াল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'তৃণমূলে কেউ লিফটে ওঠেনি-প্যারাশুটে নামেনি', নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের
'দলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কর্মীরা আগামিতে কড়ায়-গন্ডায় তার জবাব দেবেন।' যুব তৃণমূল সভাপতির নিশানায় দলের 'বিদ্রোহী'রা।
Follow Us
বোমা ফাটিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাতগাছিয়ায় তার পাল্টা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখে নিলেন না দলেরই বিধায়কের নাম।
মন্ত্রী শুভেন্দু ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামে বলেছিলেন, 'আমি প্যারাসুটে নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি। জনপ্রতিনিধি হতে গেলে ধৈর্য আর সহ্য এই দুটো ক্ষমতা থাকা দরকার। আমার সহ্য করার ক্ষমতা আছে তাই সহ্য করি। কোনও সমস্যা নেই। আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, এবং ভবিষ্যতেও থাকব।' কারোন নাম নেননি তিনি, তবে ইশারাই কাফি। তাঁর নিশানায় ছিল দলীয় নেতৃত্বই।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা শাসক দলের যুব সংগঠনের সভাপতি বলেন, 'তৃণমূলে কেউ লিফটে ওঠেনি-প্যারাশুটে নামেনি। যদি হত তাহলে দল এত বড় হত না। তৃণমূল মানে মাটির দল। এখানে লিফটে বা প্যারাশুটে ওঠা-নামা যায় না। আর যদি তাই হয় তবে তার পতন অবশ্যম্ভাবী।'
মুখে নাম না নিলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যেয়র ইঙ্গিত যে তৃণমূলের নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিষয়ে এদিন সোচ্চার ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। লিফটে ওটা-প্যারাশ্যুটে নামা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, 'লিফটে উঠলে ডায়মন্ড হারবারে নয়, দক্ষিণ কলকাতায় ভোটে দাঁড়াতাম। দলের একাধিক পদে থাকতাম। কিন্তু দল বলেছে বলেই আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়েছি। তার আগেও এখানে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি (প্রয়াত সোমেন মিত্র) সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন। তারপর আমার কাছে অনেকেই অনেক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমি এলাকা ছেড়ে যাইনি।' দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মানে মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'দলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কর্মীরা আগামিতে কড়ায়-গন্ডায় তার জবাব দেবেন।' এক্ষেত্রেও তাঁর নিশানায় দলের 'বিদ্রোহী'রা।
আরও পড়ুন- ‘বুকের পাটা থাকলে আমার নাম নিয়ে দেখান’, ‘ভাইপো’ ইস্যুতে পাল্টা অভিষেক
দলে থেকে অনেকেই খারাপ কাজ করছেন বলেও দাবি করেন যুব তৃণমূলে সভাপতি। ডায়মন্ড হারবারে আর দলবিরোধী কাজ সমর্থন করা হবে না বলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ার করেছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের দূরত্ব গত কয়েক মাস ধরেই বেড়েছে। অরাজনৈতিক মঞ্চে একেরপর এক সভা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন। পড়তে হয়েছে পাল্টা আক্রমণের মুখেও। সমস্যা সমাধানে সাংসদ সৌগত রায়ের মধ্যস্থতাও কাজে আসেনি। গত শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু। তবে এখনও দলে রয়েছেন। তার মধ্যেই শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেকের বোমা জোড়া-ফুলের অন্দরেই কয়েক প্রস্থ চর্চা বাড়াল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন