প্রশান্ত কিশোর বা পিকের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের ত্রিপুরায় আটকে রাখার অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপি শাসিত সে রাজ্যের পুলিশ রবিবার রাত থেকে আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে আটকে রেখেছে আইপ্যাকের দলটিকে। এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করেন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটারে লেখেন, ‘বাংলায় তৃণমূলের জয়ে বিজেপি এতটাই বিড়ম্বনায় পড়েছে যে তারা ত্রিপুরায় আইপ্যাকে ২৩ জন কর্মীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপি-র অপশাসনে দেশে গণতন্ত্রের হাজার বার অপমৃত্যু ঘটছে।‘
সূত্রের খবর, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। কর্নাটকের মতো সে রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার ত্রিপুরা বিজেপির নেতারা দিল্লি দরবার করে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এসেছে। এই কোন্দলকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। ইতিমধ্যে গত সপ্তাহে সমীক্ষার কাজে ত্রিপুরা গিয়েছিল আইপ্যাকের ২৩ জনের একটি দল। আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে রয়েছেন দলের সদস্যেরা। রবিবার রাতে হঠাৎই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। টিম-পিকের সদস্যদের জোর করে আটকে রাখা হয়। এমনটাই অভিযোগ ওই সংস্থার। এই সুরেই আক্রমণ শানায় তৃণমূলও।
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহ বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলা তৃণমূলের নেতৃত্বকে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আশিস সোমবার বলেন, ‘ত্রিপুরায় বিজেপি-র পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করতে চাইছে।’
এদিকে,গত ২১ জুলাই আগরতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে। দলনেত্রীর ভার্চুয়াল বক্তৃতা শুনতে জমায়েত হওয়া গৌরাঙ্গনগরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে আচমকাই প্রায় ৫০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এমন অভিযোগ তোলে ত্রিপুরা তৃণমূল। সেই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন অভিষেক। যদিও পরে পুলিশ জানায়, করোনা বিধি ভেঙে জমায়েত করাতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন