ভাটপাড়ায় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। রবিবাসরীয় দুপুরে সেই সভা থেকে হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ। সেইসময় ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন চিৎকার করে মোদীকে নিয়ে আপত্তিকর স্লোগান দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বক্তাকে অপশব্দ প্রয়োগে বিরত থাকতে বললেন অভিষেক। এরপর ফের নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন তিনি।
Advertisment
বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে অভিষেককে বারবার ভাইপো খোঁচা শুনতে হয়েছে। শুভেন্দু-দিলীপরা তো আছেনই, বাংলায় এসে বারবার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, অভিষেককে ভাইপো বলে ডাকতে। তার পাল্টা প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজনৈতিক প্রতুত্তর দিয়েছেন অভিষেক। তবে কখনও আপত্তিকর মন্তব্য ব্যবহার করেননি।
এদিন ভাটপাড়ায় লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিক বার অশান্তি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন অভিষেক। তারপর দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, "দেশে দশ পয়সার বিকাশ হয়নি। সেল বিক্রি করে দিলেন, রেল বেচে দিলেন, বিএসএনএল সেল করে দিলেন আর বিকাশের বুলি ফেল। গরিবের থেকে রুটি ছিনিয়ে পরনে এল দশ লাখি স্যুট। আর বিকাশের নামে পুরো দেশে লুঠপাট করলেন। রেডিওতে হলেও এবার তো বলে দিন, আচ্ছে দিন কবে আসবে?"
এরপরই স্রোতাদের মধ্যে থেকে একজন চিৎকার করে বলে ওঠেন, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'! গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এই স্লোগান দিয়ে মোদীকে আক্রমণ শানাত। রাহুল গান্ধীর মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছেল এই শব্দবন্ধটি। ভোটের সময় যা ব্যুমেরাং হয়ে যায়। পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলায় অনেকেই আপত্তি করেছিলেন। এদিনও যখন জনতার মধ্যে থেকে এই ধ্বনি ওঠে, সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য থামিয়ে অভিষেক বলেন, "এসব কথা বলবেন না। এটা ঠিক নয়।" রাজনৈতিক মহলের মতে, আদর্শগত বিরোধ থাকলেও এটাই কাম্য। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা রাজনৈতিক সৌজন্যতার পরিপন্থী। সেই রাজনৈতিক সৌজন্যতারই পরিচয় দিলেন তুলনায় রাজনীতিতে নবীন অভিষেক।