লোকসভায় উত্তরবঙ্গে ধরাশায়ী তৃণমূল। ৮টি আসনের কোনওটিতেই জয় আসেনি। এরপর দলে সাংগঠনিক কিছু রদ বদল হলেও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্যনীয়। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ বেশ কিছু তৃণমূল কাউন্সিলর ও গ্রাম পঞ্চায়েত-পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়েছেন। উপরোন্তু দলে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। এই অবস্থায় আগামী সোমবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিষেকের সফরসঙ্গী হতে পারেন ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর।
দলীয় সূত্রে খবর, ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে থাকবেন তিনি। এই চার দিনের সফরে একাধিক কর্মিসভা করবেন অভিষেক। একটি মাত্র সভা করবেন তিনি গঙ্গারামপুরে।
গত ডিসেম্বরেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন তৃমূল নেত্রী। 'বেসুরো'দের বিরুদ্ধে ওই সফর থেকেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই অভিষেকের এই সফর রাজনৈতিক দিন থেকে বেশ তাৎপর্যবাহী।
উল্লেখ্য, ২০১৯-য়ের লোকসভার নিরিখে কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনেই খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়ক সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই পদ্ম পতাকা হাতে তুলেছেন। 'বেসুরো' অনেকেই। শাসক শিবিরে নেতৃত্বের কোন্দলও তীব্র। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সংগঠনের শক্তি ক্রমশ তলানীতে পৌঁছচ্ছে, উল্টে শক্তি বাড়ছে বিজেপির। চরম বিভ্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা। সেই প্রেক্ষাপটে পাঁচ দিনের শপৎে উত্তপবঙ্গে গিয়ে সেখানকার সংগঠনের ফাঁক ফোকর জোড়া লাগানোই অভইষেখ ও পিকের মূল উদ্দেশ্য। তাই জলসবার বদলে কর্মী সভাতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন