রকেট গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু দেশ থেকে রাজ্য- বিরাম নেই নির্বাচনের। করোনাবিধি জারি হলেও প্রচারের তার দফারফা। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতে কী ভোট হওয়া খুব প্রয়োজন? জবাবে তৃণমূলের সর্বাভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখন রাজনীতি, ধর্ম সব বন্ধ করা উচিত। এটা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। মানুষ বাঁচলে ভোট পরেও করা যাবে।'
তবে, গোটাটাই তাঁর ব্যক্তিগত মত বলে স্পষ্ট করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ভোট হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে কমিশন, হাইকোর্টে ও রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
কী বলেছেন অভিষেক?
ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার আলিপুরে জেলা শাসকের দফতরে পর্যালোচনা বৈঠক করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে ডায়মন্ড হারবার এলাকার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা বেঁধে দেন অভিষেক। জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার এলাকায় কোনও রকম জমায়েত করা চলবে না। রাজনৈতিক জমায়েতের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বড় কোনও পুজো বা ধর্মীয় জমায়েতও। পঞ্চায়েতগুলিকে করোনা কন্ট্রোল রুম খুলতে বলা হয়েছে। বাজারে গেলে দুটি করে মাস্ক পড়ার অনুরোধ করেন অভিষেক। করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
করোনার বাড়ন্তে আগেই ভোট ১ মাস পিছনোর দাবি তুলেছে বিজেপি। সংক্রমণের এই উর্ধ্বগতিতে কী আদৌ ভোট করা বাঞ্ছনীয়? জবাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পুরভোটের ব্যাপারটা হাই কোর্টে বিচারাধীন। হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে কিছু বলব না।' তাঁকে ফের এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, 'কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার জন্য নির্বাচন করা ঠিক নয়। আগামী দু’মাস সব রাজনৈতিক, ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখা হোক। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। বড়দিন দুর্গাপুজো আর যা যা উৎসব রয়েছে সব পরে হবে। আগে তো মানুষের প্রাণ। মানুষ বাঁচলে সব হবে। যদি মানুষই না থাকলো তবে উৎসবের আর কী থাকবে?'
সংক্রমণ বাড়ছে অথচ গঙ্গাসাগর মেলায় ছাড় দিল হাইকোর্ট। অভিষেকের কথায়, 'আদালত যা কোভিড বিধি বেঁধে দিয়েছে তা সকলের মেনে চলা উচিত।'
ডায়মন্ড হারবারের জন্য তিনি নির্দেশিকা বেঁধে দিয়েছেন। ওই বিধি কী অন্যত্রও পালনের নির্দেশ দেবেন তিনি? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমি নির্দেশ দেওয়ার কেউ নই। যদি কোনও সাংসদ মনে করেন তবে তাঁর সংসদীয় এলাকায় তা প্রয়োগ করতেই পারেন। তবে, মানুষের সচেতনতা ছাড়া করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না।'