অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নুরুলা বিতর্ক জাতীয় মঞ্চে নিয়ে গেল বিজেপি। এবিষয়ে রবিবার রাজ্য বিজেপির দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করার পর এদিন ফের দিল্লির বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শাহনওয়াজ হুসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এই বৈঠক থেকেই 'সোনা কাণ্ডে' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করল বিজেপি। অভিযোগ, অভিষেকের স্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে দু'কেজি সোনা নিয়ে যেতে গিয়ে শুল্ক দফতরের হাতে ধরা পড়েছিলেন, এবং বিধাননগর পুলিশের 'সাহায্যে' সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "কেন স্যুটকেসে তল্লাশি চালানো হল না? কেন বাধা দেওয়া হল? বৈধ যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশিতে কেন বাধা?" তাঁর অভিযোগ, শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাজে হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য পুলিশ তথা বিধাননগর পুলিশ। "বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের অধীনস্থ এলাকায় কার নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ ঢুকল? জবাব দিন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।"
আরও পড়ুন: কী বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
বিজেপির এই সাংসদ আরও বলেন, "বারবার কেন ব্যাঙ্কক থেকে স্যুটকেস নিয়ে আসেন (অভিষেক পত্নী)?" তাঁদের আরও প্রশ্ন, "ছ'ঘণ্টা পর শুল্ক দফতরের দায়ের করা এফআইআর নিয়েছে পুলিশ। থাইল্যান্ডের নাগরিক রুজিরা নুরুলা ও মেনকা গম্ভীর নামে দুই মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ঘটনার পরের দিন ফের কেন সেখানে পুলিশ গিয়েছিল? শুল্ক দফতরের তিন আধিকারিককে গ্রেফতারের নির্দেশ কে দিল? পুলিশ তো নিজে নিজে নির্দেশ দিতে পারে না।"
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সোমবার স্বপনবাবু বলেন, "সেদিন বিমানবন্দরে যেভাবে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর পরিজনদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না? এসব করে উনি সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন। পুলিশকে আর নিরপেক্ষ বলা যায় না। একটা পরিবারের জন্য কাজ করছে পুলিশ।"
আরও পড়ুন: ‘শ্লীলতাহানি’র প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ অর্জুন সিংয়ের
ওদিকে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনার দাবি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ওই ফুটেজে প্রমাণ হলে, রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তীর্যক মন্তব্য করে এদিন অভিষেকের এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন স্বপনবাবু। তিনিও বলেন, এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছে বিজেপি।
পাশাপাশি, শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগঅ তুলেছিলেন অভিষেক। রবিবার তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীর কাছে শুল্ক আধিকারকরা ঘুষ চেয়েছিলেন। সোমবার সে প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, "ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিষেক। ভিআইপি-র স্ত্রীর কাছ থেকে কেউ জেনেশুনে ঘুষ চাইতে পারেন?"