জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে অঙ্কিভ বৈশ্যকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। এর পাশাপাশি সংগঠন থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করল আরএসএস-এর ছাত্র শাখা এবিভিপি।
চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই-এর সানি চিল্লারকে পরাজিত করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন অঙ্কিভ বৈশ্য। এদিকে, এনএসইউআই অভিযোগ করে যে তিরুভাল্লুভার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল নথি জমা দিয়ে (মার্কশিট ও সার্টিফিকেট) দিল্লি বিশ্বিদ্যালয়ের 'বুদ্ধিস্ট স্টাডি' বিভাগে ভর্তি হয়েছেন অঙ্কিভ। এরপরই অঙ্কিতের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করে কংগ্রেসের ছাত্র শাখাটি। তবে এ বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
আরও পড়ুন- ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় শীর্ষ আদালতকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আবেদন করল দিল্লি হাইকোর্ট
এবিভিপি-র জাতীয় মিডিয়া কনভেনার মনিকা চৌধুরি বলেন, "৩:১ অনুপাতে এবিভিপি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্বাচন জেতার পরই এনএসইউআই এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠন অঙ্কিভের ডিগ্রি এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করল। ও (অঙ্কিভ) ক্ষমতার কুর্সিতে বসার পর থেকেই এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, সেই সময় থেকেই এ বিষয়ে এবিভিপি-র অবস্থান স্পষ্ট - এই ক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখার পূর্ণ অধিকার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে। আর এমন গুজব থামাতে তাদের সেই কাজ করাও উচিত"। মনিকা আরও বলেন, "দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ছাত্রদের লড়াই, আবেগ এবং প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখেই অঙ্কিভকে পদত্যাগ করতে বলেছে এবিভিপি। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্য আসছে, তাঁকে সাসপেন্ড করে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক ভরত খাটানা বলেন, "দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই তদন্ত যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে রিপোর্ট জনসমক্ষে নিয়ে আসার অনুরোধ করছি আমরা। তদন্ত প্রক্রিয়ার এই বিলম্বে আমরাও অখুশি। অঙ্কিভ দোষ করে থাকলে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে"।
এবিভিপি এভাবে অঙ্কিভকে সরানোয় মুখ খুলেছেন এআইসিসির-র তরফে এনএসইউআই-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী রুচি গুপ্তা। তাঁর দাবি, নীতিগত কারণে নয়, বরং চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। রুচির আরও দাবি, সম্ভবত ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে রায় ঘোষণা হত এবং অঙ্কিভের পদ বাতিল হতই। ফলে, শেষ মুহূর্তে কিছুটা মুখরক্ষার চেষ্টা করল এবিভিপি।
এদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অঙ্কিভের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি এবং মেসেজেরও উত্তর দেননি।
Read the full story in English