দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। আর, তারপরই দিল্লি বিজেপির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হল আদেশ গুপ্তাকে। দলের দিল্লি শাখার সহ-সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। তিনিই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি না-হওয়া পর্যন্ত দিল্লি বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। দলের তরফে জানানো হয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্ব আদেশ গুপ্তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, 'বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশেই আদেশ গুপ্তা পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। দলের দিল্লি শাখার সহ-সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবকে অবিলম্বে দিল্লি বিজেপির সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।' শনিবার, আপের জাতীয় আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপির ওপর তার আক্রমণ আরও তীব্র করেছেন।
তিনি বলেছেন, 'বিজেপি ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করেছে। নাগরিক নির্বাচনকে আপের জন্য সবচেয়ে কঠিন করে তুলেছে। তবে সব কৌশল ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে।' গত ১৫ বছর ধরে আম আদমি পার্টি দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন চালাচ্ছিল। কিন্তু, এবার তারা ৩০ আসনে আম আদমি পার্টির কাছে পরাজিত হয়েছে। আপ এই নির্বাচনে পেয়েছে ১৩৪টি আসন। আর, বিজেপি পেয়েছে ১০৪টি আসন।
আরও পড়ুন- অন্তর্দ্বন্দ্ব রুখে দিল কংগ্রেস, হিমাচলে শপথ নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর
অবশ্য জয়ের পরই আম আদমি পার্টি অভিযোগ করেছে যে বিজেপি তাদের কাউন্সিলরদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি আদেশ গুপ্তা আপের কাউন্সিলরদের ফোন করেছেন। তাঁদের বলেছেন যে বিজেপির কাছে ১০০ কোটি টাকার তহবিল আছে। আপের কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
এমনিতে দলবদলের আইন পুরসভা ও পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। এই আইন কেবল সাংসদ ও বিধায়কদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি আপের কাউন্সিলরদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানান কেজরিওয়াল। পালটা বিজেপি আবার অভিযোগ করেছিল যে আপই তাদের কাউন্সিলরদের ভাঙানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
Read full story in English