সংসদ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করার দু'দিন পর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী এই সাসপেনশনের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। তাঁর অভিযোগ, 'এই সাসপেনশন আসলে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য শাসক দলের ইচ্ছাকৃত ছক।' বর্তমানে অধীর চৌধুরীরর সাসপেনশনের বিষয়টি সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে বিচারাধীন। শনিবার এই ব্যাপারে এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, 'এটি একটি নতুন ঘটনা, যা আমরা সাংসদজীবনে আগে কখনও অনুভব করিনি। এটা হল বিভিন্ন অস্বস্তিকর উপায়ের আশ্রয় নিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে গলা টিপে হত্যা করার জন্য শাসক দলের পরিকল্পিত ছক।'
বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে 'পশ্চাদপসরণমূলক' বলে অভিহিত করে অধীর চৌধুরী বলেন, 'এটি সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করবে। প্রয়োজনে আমি সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারি। আমি চেয়ারের নির্দেশের বিরোধিতা করতে পারি না। কিন্তু, আমি যদি দেখি যে এই ধরনের পরিস্থিতি একমাত্র আদালত দ্বারাই সমাধান করতে হবে, আমি সেই চেষ্টা করব।' ভারত জোটের সমালোচনার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, 'কেন মোদিজি ভারত শব্দের বিরোধিতা করছেন? ইন্ডিয়া এবং ভারতের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।'
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে মহানাটক: কুর্সি গেল শরিফের, বদলে এবার কে?
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে তাঁর বক্তৃতা শেষ করার পরপরই, সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন অধীর চৌধুরীর সাসপেনশনের জন্য। সেই সময় বিরোধী বেঞ্চে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। জোশীর অভিযোগ, অসংসদীয় আচরণ করে অধীর চৌধুরী সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। বিরোধীরা কেউ না-থাকায় বিজেপির প্রস্তাব ধ্বনিভোটে পাস হয়েছে। অধীর চৌধুরীর পাশাপাশি আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডাকেও শুক্রবার রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টিও সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছে বিচারাধীন।
এর আগে গত ৩ আগস্ট, আপের একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীল কুমার রিংকুকেও 'অসংসদীয় আচরণ'-এর অভিযোগে বাদল অধিবেশনের অবশিষ্ট অংশের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ, যখন লোকসভায় দিল্লি পরিষেবা বিলটি উঠেছিল, রিংকু ওয়েলের কাছে ছুটে যান। কিছু কাগজপত্র ছিঁড়ে স্পিকার ওম বিড়লার দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন।