ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় এসেও গত বছর প্রায় ৮০০ পাকিস্তানি হিন্দুকে আবারও সেই দেশে ফিরে যেতে হয়েছে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরের দিনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর। এব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ দাবি করে শাহকে লেখা চিঠিতে অধীর লিখেছেন, ''আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা হয়রানির সম্মুখীন যাতে না হন, তাঁদের যেন ফের পাকিস্তানে ফিরে যেতে না হয়, সেটা দেখুন।'' উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের জেরেই ভারতে নাগরিকত্বরের আশায় এসেছিলেন ওই হিন্দুরা।
ভারতের নাগরিকত্ব পেতে গিয়ে পাকিস্তানি হিন্দুদের গুরুতর 'দুর্দশা'র কথাই শাহকে চিঠিতে মনে করিয়েছেন অধীর। বিশাল সংখ্যায় একদল পাকিস্তানি হিন্দু সেদেশের ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতেই ভারতে এসেছিলেন। তবে এদেশে এসেও তাঁদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ভারতের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে না পেরে বাধ্য হয়েই ফের তাঁরা পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, স্বাগত জানাল বিরোধী শিবির
অমিত শাহকে চিঠিতে অধীর চৌধুরী লিখেছেন, ''স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০১৮ এবং ২০২১ সালে ঘোষণা করে যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি, জৈন এবং বৌদ্ধরা অনলাইনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। পাকিস্তান থেকে হাজার হাজার হিন্দু ভারতে এসে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে কাজের ধীর গতি এবং জটিল প্রক্রিয়ার জেরে সেই উদ্যোগের সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা হতাশ হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাচ্ছেন।''
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা অপর একটি চিঠিতে অধীর চৌধুরী তাঁকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেছেন। চিঠিতে এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, ''সিএএ নামে একটি খারাপ চিন্তাভাবনা সংক্রান্ত আইন পাশের পর দু'বছর কেটে গিয়েছে। এখনও, আপনি এই আইনটির অসাংবিধানিকতার কারণে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হননি। সেই কারণেই পাকিস্তানি হিন্দুরা এদেশে নাগরিকত্বের আশায় এসেও হতাশ হয়ে ফের পাকিস্তানে ফিরে যাচ্ছেন। এই কঠোর আইনটি কার্যকর করা যায় না। কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে তৈরি হওয়া একটি আইন। এটি আমাদের সাংবিধানিক মৌলিক নীতির পরিপন্থী।''
Read full story in English