বিধানসভা নির্বাচনে এসেছে কাঙ্খিত জয়। কিন্তু জয়ের মধ্যে কাঁটা মুসলিম ভোট। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় আশাতীত ফল মেলেনি। তাই এবার সংখ্যালঘু মোর্চাই ভেঙে দিল আসাম বিজেপি। ১২৬টি আসন বিশিষ্ট বিধানসভার জন্য ৮ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। প্রত্যেকেই হেরেছেন। লজ্জায় মাথা কাটা গেছে গেরুয়া শিবিরের। তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে তৈরি করা এই সংখ্যালঘু মোর্চাই তুলে দিল বিজেপি।
জানা গিয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার অধিকাংশ বুথে ২০টিরও কম ভোট পেয়েছেন প্রার্থীরা। এই সংখ্যা বুথ কমিটির সদস্যদের থেকেও কম। তাক জেরে বুধবার কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। একটি বিবৃতিতে রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য, জেলা ও মণ্ডল স্তরের কমিটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
রঞ্জিত দাস দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, আমাদের অনেক মোর্চা আছে যেমন, মহিলা, যুব, এসটি এবং অন্যান্য। সংখ্যালঘু মোর্চাও রয়েছে। আমরা বহু মুসলিম অধ্যুষিত আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। এই সমস্ত এলাকায় বহু বুথে প্রার্থীরা ২০টি ভোটও পাননি। যেখানে এর থেকেও বেশি সংখ্যায় রয়েছে বুথ কমিটির সদস্য। তার মানে কর্মীরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই এই মোর্চা ভেঙে দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ৭৫টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোট জিতেছে ৫০টি আসনে এবং একটি আসনে জিতেছেন জেলবন্দি সমাজকর্মী অখিল গগৈ। যেখানে এনডিএ-র ৮ জন মুসলিম প্রার্থীই হেরেছেন, সেখানে কংগ্রেসের মহাজোটের ৩১ জন প্রার্থী ভোটে জিতে বিধানসভায় যাচ্ছেন। এদিকে, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মুখতার হোসেন খান বলেছেন, কেন সংগঠন ভেঙে দেওয়া হল তা তিনি জানেন না।