Advertisment

'যুবা' নিয়ে ১০ বছর পর ক্ষোভের আগুন শুভেন্দুর গলায়

'আপনারা দেখেছেন ক্ষমতায় আসার পর সময় ২০১১-এর ২১ জলাই শহিদ স্মরনের দিন ভাইপোকে যুবার সভাপতি করে দুটো যুব সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। তাই কোম্পানী ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে মনের ভিতরে ক্ষোভের আগুন পুষে রেখে দলে ছিলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ১৬ দিনের মাথায় সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে বললেন শুভেন্দু। এমনকী সবংয়ের জনসভা থেকে নাম না করে কটাক্ষ করলেন মানস ভুঁইয়াকে। শুভেন্দু এদিন বলেন, "তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল নেতারা বিজেপি নেতাদের পায়ে গিয়ে পড়ছেন।"

Advertisment

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহেই রাজভবনে মমতা

তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকার। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল যুবা গঠন করা হয়। তার সভাপতি করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সেদিন তৃণমূলে একসঙ্গে দুটি যুব সংগঠন ছিল। পরে দুটো সংগঠনকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। যুবা ঘোষণার দিন দলে ক্ষোভের বীজ পোঁতা হয়েছিল। সবংয়ে শুভেন্দু বক্তব্যে বলেন, "বামেদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, তারপর প্রতি পদে পদে শুভেন্দুকে দলের মধ্যে কোনঠাসা করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন ক্ষমতায় আসার পর সময় ২০১১-এর ২১ জলাই শহিদ স্মরনের দিন ভাইপোকে যুবার সভাপতি করে দুটো যুব সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। তাই কোম্পানী ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। ফুটো নৌকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।"

এদিন নাম না করে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে। সবংয়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "শুনে রাখুন এখানকার যিনি চিটফান্ডের টাকা মারা নেতা বড় বড় কথা বলছেন। ১৬ সালে সূর্যবাবুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন নারায়নগড়ে। আপনার ছবি লোক দেখেছে। ২০০৯ সালে ৯ অগাস্ট হাতে জুতো নিয়ে ধুতি গুটিয়ে ধরে দৌঁড়েছিলেন মঙ্গলকোটের মাঠে। সেদিন ফোনে বলেছিলেন বুদ্ধদা বাঁচান, বুদ্ধদা বাচান। এগুলো মানুষ জানেন। উপনির্বাচনে শুভেন্দু না এলে জিততেন না। ২১-এ পদ্মফুল ফোটাব।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp abhishek banerjee Suvendu Adhikari
Advertisment