Advertisment

সিএএ-এর পরেই এনআরসি হবে, বলছে বঙ্গ বিজেপির পুস্তিকা

হিন্দি এবং বাংলা এই দুটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে পুস্তিকা। বাংলা পুস্তিকাটিতে এনআরসির উল্লেখ থাকলেও হিন্দিতে তা নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp booklet

সিএএ-এর সমর্থনে বঙ্গ বিজেপির প্রচার পুস্তিকা। ছবি- টুইটার

নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যখন উত্তাল হয়েছে দেশ তাঁর কিছুদিনের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যর উল্টোসুরেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনাই হয়নি। এদিকে সেই 'বিতর্কিত এনআরসি' নিয়েই রবিবার রাজ্যে পুস্তিকা প্রকাশ করল বাংলার পদ্ম শিবির। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে দেশব্যাপী বিরোধীরা যা প্রচার করছে সেই “ভুল তথ্য দূরীকরণ” করতে দলের প্রচারের অংশ হিসাবেই প্রকাশিত হল এই সিএএ সমর্থিত পুস্তিকা। পরবর্তীতে যে এনআরসি লাগু হবেই, তাও উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে।

Advertisment

আরও পড়ুন: জেএনইউকাণ্ড: হোয়াটসঅ্যাপে মুখোশ খুলল এবিভিপির

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হিন্দি এবং বাংলা এই দুটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে পুস্তিকা। বাংলা পুস্তিকাটিতে এনআরসির উল্লেখ থাকলেও হিন্দিতে তা নেই। 'বাংলায় এনআরসি হবে না' স্পষ্টত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুস্তিকা প্রকাশ করে কী তারই পাল্টা দিল বিজেপি, ওয়াকিবহাল মহলের এমনটাই মত। ২৩ পাতার পুস্তিকাটির একদম শেষের পৃষ্ঠায় লেখা, "এর পর কি তবে এনআরসি হবে? কতটা প্রয়োজন সেটা? যদি এনআরসি হয় তবে আসামের মতো হিন্দুদেরও কী আটক কেন্দ্রগুলিতে যেতে হবে? উত্তরে লেখা আছে, " হ্যাঁ, এর পরে এনআরসি কার্যকর করা হবে। অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব সেই রকম। তার আগে, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে এনআরসি-র কারণে কোনও হিন্দুকেই ডিটেনশন সেন্টারে যেতে হবে না। ফরেনার্স অ্যাক্ট-এর কারণে ১১ লাখ হিন্দু আসামের আটক কেন্দ্রে রয়েছেন।"

আরও পড়ুন: ‘দেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে, মনে হয় পাওনা আছে’, জেএনইউকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

পুস্তিকাটিতে এনআরসির ব্যাখ্যা বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই আসামে এনআরসি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কংগ্রেস সরকারের আমলেই এই ফরেনার্স অ্যাক্ট পাস হয়েছিল। রবিবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে এই পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পুস্তিকাটিতে বলা হয়েছে, “আসামের বিজেপি সরকার এনআরসি আনেনি। বরং এনআরসির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যাঁরা অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ক্যাব পাশ হওয়ার পর অতি সত্বর মুক্তি পাবেন আশা করা যায়।" সেখানে আরও বলা হয়েছে, 'অসম ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে কম করে দু'কোটি অনুপ্রবেশকারী ভারতে আছেন বলে শোনা যায়। তাদের ডি-ভোটার (ডাউটফুল বা সন্দেহভাজন ভোটার) করে দেওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই এনআরসির প্রয়োজন দেশের।"

আরও পড়ুন: সিএএ’র বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকাল বিক্ষোভের পথে বিজেপির জোটসঙ্গী

তবে হিন্দি ভাষায় কিন্তু উল্লেখ নেই এনআরসি। 'একই যাত্রায় পৃথক ফল কেন?' প্রশ্নের জবাবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন “বাংলায় এই পুস্তিকাটি হিন্দির অনুবাদ নয়। বাংলায় সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বহু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। সুতরাং, পুস্তিকাটির বাংলা সংস্করণে এনআরসি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে লেখা আছে যে এনআরসি বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্বানুমতি নিয়েই।"

যদিও বিজেপির এই পুস্তিকা প্রকাশকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না মমতা শিবির। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন ব্যাগ থেকে বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির নীতির সত্যতা বেরিয়ে এসেছে সামনে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এনআরসি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশ ও রাজ্যের মানুষ তাঁদের উপযুক্ত উত্তর দেবেন।"

Read the full story in English

bjp West Bengal Citizenship Amendment Act
Advertisment