লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলের নেতা-কর্মীদের আরও বেশি করে সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছনোর কথা বলেছেন। সেই নির্দেশ মান্য করে বিজেপি আরও বেশি করে সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা শুরু করেছে। এই ব্যাপারে দল মোট ৬০টি আসন বেছে নিয়েছে। এই আসনগুলোর ওপরই বেশি করে নজর দিতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। তার মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশের। যেখানে রয়েছে মোট ১৩টি আসন। সমান সংখ্যক আসন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।
এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি। তিনি জানিয়েছেন, একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। মোট ১০ রাজ্যের ৬০ লোকসভা আসন থেকে বিজেপির কর্মীরা গেরুয়া শিবিরের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবেন। সেই ব্যক্তিদের হাতিয়ার করেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে এব্যাপারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে পরিষ্কার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য থাকবে গেরুয়া শিবিরের প্রতি সহানুভূতিশীল ৫,০০০ জনকে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে চিহ্নিত করা। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে দল প্রতিটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রে স্কুটার যাত্রা করবে। মার্চ-এপ্রিলে করবে স্নেহ যাত্রা। মে মাসে দিল্লিতে এক জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জনসভায় বেছে নেওয়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬০ আসনের প্রতিটির প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন- ‘বঙ্গে বিক্রি বিদ্যা’, সরস্বতী পুজোয় থিমেই বাজিমাত কাঁকুড়গাছি কালীমাতা মন্দিরের
এই ব্যাপারে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মোদিজির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা পরিকল্পনা ছকে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। আর, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত প্রতিটি শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তেমনটা করতে না-পারলে দেশের উন্নতি ঘটবে না। মোদিজি বলেছেন, আমাদের প্রত্যেককে সঙ্গে নিতে হবে। আর, সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।'
Read full story in English