Advertisment

কৃষক দরদী রাজস্থানের মঞ্চে অবতরণ

তাঁর পূর্বসূরি বিজেপি সরকারের ঋণ মকুব উদ্যোগ প্রসঙ্গে গেহলোট বলেন, পূর্বতন সরকার শুধুমাত্র সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্বল্প-মেয়াদী ঋণ মকুব করেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জাদুবিদ‍্যার যোগ্যতার সঙ্গে তরুণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচীন পাইলটের তুলনা চলবে কী করে?

মধ্যপ্রদেশ হলো, ছত্তিসগড় হলো, সেই চাপে গুজরাত, আসাম হলো। এবার কৃষক দরদী হওয়ার পালা রাজস্থানের। বুধবার নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট ঘোষণা করলেন, সে রাজ্যে সমবায় বা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া সমস্ত কৃষি ঋণ, এবং অন্যান্য ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া দু'লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুব করবে রাজ্য সরকার। এই ঋণ মকুব করতে সরকারের খরচ হবে ১৮,০০০ কোটি টাকা, যার অর্থ হলো, প্রতিযোগিতার এই বিভাগে এই মুহূর্তে এগিয়ে রাজস্থানই। উপরোক্ত রাজ্যগুলির একটিও এত অর্থ ব্যয় করে নি এখন পর্যন্ত।

Advertisment

শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ কৃষি ঋণ মকুব করার নথিপত্র সই করতে আরম্ভ করেন, কংগ্রেসের প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে। একই রাস্তায় হাঁটেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, যিনি ঘোষণা করেন যে তাঁর সরকার ১.৬৬ মিলিয়ন কৃষকের স্বার্থে ৬,১০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ মাফ করে দেবে।


"সংশ্লিষ্ট সমস্ত আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের কাজের সুবিধের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করে দেওয়া হবে," সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান গেহলোট। এই ঋণ মকুব স্কিম সেইসব কৃষকদের জন্য, যাঁরা ৩০ নভেম্বর অবধি দেনার বোঝা বয়েছেন।

তাঁর পূর্বসূরি বিজেপি সরকারের ঋণ মকুব উদ্যোগ প্রসঙ্গে গেহলোট বলেন, পূর্বতন সরকার শুধুমাত্র সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্বল্প-মেয়াদী ঋণ মকুব করেছিল। সেরকম কোনো ঊর্ধ্বসীমা এবার থাকছে না।

গেহলোট আরও বলেন, বসুন্ধরা রাজের বিজেপি সরকারের যে ঋণ মকুব প্রকল্প শুরু করে, তাতে খরচ হওয়ার কথা ছিল ৮,০০০ কোটি টাকা, কিন্তু বাস্তবে ঋণ মকুবে খরচ হয় মাত্র ২,০০০ কোটি টাকা। বাকি টাকার বোঝা এসে বর্তেছে বর্তমান কংগ্রেস সরকারের ওপর, বলে তিনি দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঋণের ভার বহন করতে না পেরে রাজ্যে আত্মহত্যা করছেন কৃষকরা।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার একটা টাকাও মকুব করে নি। নির্বাচনী প্রচারের সময় আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল ঋণ মকুব করব। দুই রাজ্যে ছ'ঘণ্টার মধ্যে করে দেখিয়েছি। রাজস্থান শিগগিরই করবে।"


কৃষি ঋণ নিয়ে নিজের দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে রাহুল আরও বলেছিলেন, "যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী ঋণ মাফ করছেন, তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেব না। ২০১৯-এর কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে ঋণ মকুবের অঙ্গীকার থাকবে। আমরা করবই - ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি - যদি নরেন্দ্র মোদীর সরকার ততক্ষণ পর্যন্ত না করে দেয়।"

তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ১১ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁর দলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, ও রাজস্থানের কৃষকদের ঋণ শিগগিরই মাফ করা হবে। নির্বাচনের আগে রাহুল বলেছিলেন, ওই তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দশ দিনের মধ্যে কৃষি ঋণ মকুব করা হবে।

rahul gandhi rajasthan Madhya Pradesh narendra modi
Advertisment