লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে বিরাট ধাক্কা বিজেপির। হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা তথা পাঞ্জাব সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অশ্বনি সেখরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নভজ্যোত সিং সিধুর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা লোকসভা নির্বাচনের ১০ মাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দেন। সিধুই ২০২২ সালে সেখরিকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিলেন, যদিও নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। সেখরির বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো শুধুমাত্র কংগ্রেসের জন্য নয়, ব্যক্তিগতভাবে নভজ্যোত সিং সিধু শিবিরের জন্যও একটি বড় ধাক্কা বলে মনে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
একদিকে আজ থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হতে চলেছে দু'দিনের বিরোধী ঐক্যের বৈঠক। এর মাঝেই পাঞ্জাব সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অশ্বনি সেখরির কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাটি পাঞ্জাবে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা। জগদীশ রাজ সাহনির পর বাটালা বিধানসভা আসন থেকে দাপুটে নেতা খুঁজছিল বিজেপি। এই কারণেই অশ্বানি সেখরির বিজেপিতে যোগদানকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির একটি অত্যন্ত কৌশলগত পরিকল্পনা বলেই ধারণা।
পাঞ্জাব কংগ্রেসে দলাদলি এখন তুঙ্গে। আর সেই কারণেই দলের অন্দরেই কিছুটা কোন ঠাসা হয়ে পড়েন ৬২ বছর বয়সী প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশ্বনি সেখরি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার আগে সেখরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের পাঞ্জাব ইউনিটের সমালোচনা করেন তিনি।
অশ্বনী সেখরির ১৯৮৫ সালে বাটালা বিধানসভা আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে তিনি জয়ী হন। ২০০২-২০১২ সালেও তিনি বাটালা আসন থেকে বিধায়ক হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হন। ২০০২ সালে, তাকে পর্যটন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০০৯ সালে, সেখরিকে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ ও ২০২২ সালে, অশ্বানি সেখরি বাটালা থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, প্রথমবার শিরোমনি আকালি দলের লক্ষবীর সিং লোধিনাঙ্গলের কাছে এবং দ্বিতীয়বার আপ প্রার্থীর কাছে নির্বাচনে হেরে যান তিনি।