গত ছ’ মাস ধরে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ, (যেটি শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বশাসিত সংস্থা) সেখানকার কর্মীরা, প্রতিদিন সকালে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য জড়ো হতেন। একই সঙ্গে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর হিস্টোরিক্যাল রিসার্চের কনফারেন্স হলে টানানো ছিল ভারত মাতা এবং প্রাক্তন জন সংঘের সভাপতি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবি। শুক্রবার বিশেষ আপত্তির পর জাতীয় সংগীত গাওয়া বন্ধের পাশাপাশি, দেওয়ালে টানানো দুটি ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আইসিএইচআর-এ দৈনিক জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বন্ধ করেছে, ভারত মাতা ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ-এ (আইসিএইচআর), গত ছয় মাস ধরে প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রীতি ছিল, শুক্রবার বিশেষ আপত্তির কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। সদস্য সচিব উমেশ কদমের অফিসে এবং আইসিএইচআর-এর সম্মেলন কক্ষে ভারত মাতা এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবিগুলিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, আইসিএইচআর সভাপতি রঘুবেন্দ্র তানওয়ার এবং সদস্য সচিব উমেশ কদম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তবে বিস্তারিত কিছু বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন।
আইসিএইচআর-এর একজন প্রবীণ আধিকারিক বলেছেন, “জাতীয় সংগীত গাওয়া একটি মৌখিক আদেশের ভিত্তিতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু করা হয় এবং আজও মৌখিক আদেশের পর তা বন্ধ হয়ে গেছে। ভারত মাতা এবং উপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ফেলার কোন লিখিত নির্দেশ না থাকলেও সেক্রেটারি উমেশ কদমের অফিস এবং আইসিএইচআর-এর সম্মেলন কক্ষ থেকে সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উভয় কক্ষের দেওয়ালে ভারত মাতা এবং উপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি টানানো হয়েছে।
ভারত মাতা ও উপাধ্যায়ের ছবি সরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব উমেশ কদম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “এই ছবিগুলো রাখার জন্য কোন লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই এগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।" জাতীয় সংগীত বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের কর্মচারীরা লাইব্রেরির সামনে প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার উদ্দেশ্যে জড়ো হতেন। তারা নিজের ইচ্ছায় জাতীয় সংগীত গাইতেন।
সূত্রের খবর, কদম ১১ আগস্ট, ২০২২-এ আইসিএইচআর-এর দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতীয় সংগীত গাওয়া প্রচলন শুরু হয়। চেয়ারম্যান রঘুবেন্দ্র তানওয়ারকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং ছবি টানানোর জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। ছবি সরানো বা জাতীয় সঙ্গীত বন্ধে আমার কোন ভূমিকা নেই। আমি ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ইনস্টিটিউটে যাইনি।" তানওয়ার বলেন, আইসিএইচআর একটি অসাম্প্রদায়িক সংস্থা। এর পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে”।