অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে অঙ্কিতা ভাণ্ডারির মৃতদেহ সৎকার করলেন পরিবারের লোকজন। শনিবারই বছর ১৯-এর অঙ্কিতার দেহ একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়। তার আগে গত ছয় দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। উত্তরাখণ্ডের লছমনঝুলায় এক বিজেপি মন্ত্রীর ছেলের রিসর্ট থেকে অঙ্কিতা নিখোঁজ হয়ে যান।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে কারও সঙ্গে অঙ্কিতার ধস্তাধস্তি হয়েছিল। তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। সম্ভবত তারপরই অঙ্কিতা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তবে, ডুবে যাওয়ার জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যে রিসর্ট থেকে অঙ্কিতা নিখোঁজ হন, সেখানেই তিনি রিসেপশনিস্টের কাজ করতেন। তাঁর পরিবার এই মৃত্যুর ঘটনা ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে বিচারের দাবি জানিয়েছে। সেই দাবিতে অনড় থেকে পরিবারের লোকজন প্রথমে দেহ সৎকারে রাজি হচ্ছিল না। পরে, অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে তারা রাজি হয়। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে পৌরি গাড়োয়ালের অলকানন্দা নদীর কাছে নীত ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ভয়াবহ নৌকোডুবিতে মৃত অন্তত ২৪, নিখোঁজ ৩০ যাত্রী
অঙ্কিতার বাবা বীরেন্দ্র ভাণ্ডারি বলেন, 'প্রশাসন কেন বনান্ত্র রিসর্ট গুঁড়িয়ে দিল? ওখান থেকে প্রচুর তথ্য পাওয়া যেত। আমি এখনও পর্যন্ত পোস্টমর্টেম রিপোর্টে খুশি নই। দোষীদের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করতে হবে।' একই কথা জানিয়েছেন অঙ্কিতার দাদা অজয় ভাণ্ডারিও। এর আগে শুক্রবারই উত্তরাখণ্ড পুলিশ ওই রিসর্টের মালিক পুলকিত আর্যকে গ্রেফতার করেছে।
পুলকিতের বাবা উত্তরাখণ্ড বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী বিনোদ আর্য। পুলিশের দাবি, ঝগড়ার পর অঙ্কিতাকে ঠেলে খালে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে রিসর্টের মালিক পুলকিত। পুলিশ এই ঘটনায় তিন জনকে অপহরণ, খুন এবং প্রমাণ লোটের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিল্লা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে শক্তি খালে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য ঋষিকেশ এইমসে পাঠানো হয়। সেখানে একদল চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ভিডিওর নজরদারিতে অঙ্কিতার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের পর, পরিবারের অনুরোধে দেহ পাঠানো হয় পৌরি গাড়োয়ালের শ্রীনগরে। ময়নাতদন্ত চলাকালীন, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি এবং অঙ্কিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
Read full story in English