টেলিভিশনের বিতর্ক অনুষ্ঠানে নবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। বিজেপি থেকে সাসপেন্ড মুখপাত্র নুপূর শৎ্মা এবং নবীন জিন্দাল। জাতীয় মুখপাত্র নুপূরকে একটি চিঠিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সম্পাদক ওম পাঠক জানিয়ে দিয়েছেন, দলবিরোধী কথা বলেছেন আপনি। দল এই বক্তব্যকে সমর্থন করে না। বিস্তারিত তদন্তের আগে আপনাকে দলের পদ এবং দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হল।
দিন কয়েক আগে একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিতর্ক অনুষ্ঠানে নুপূর মহম্মদকে নিয়ে অপ্রীতিকর কথা বলেন। সেটা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। বিজেপি এর আগে জানায়, দল সব ধর্মের সম্মান করে। কোনও ধর্ম-বর্ণকে অসম্মান করার তীব্র বিরোধী বিজেপি। তখনই নুপূরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।
রবিবারই দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একটি বিবৃতি জারি করে জানান, "বিজেপি তীব্র ভাবে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, বর্ণকে অসম্মানের বিরোধী। কোনও ধর্মকে অসম্মানেরও আদর্শবিরোধী। এই ধরনের কোনও আদর্শ বা মানুষকে বিজেপি মান্যতা দেয় না। ভারতের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে প্রত্যেক ধর্ম নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র এবং প্রস্ফুটিত। বিজেপ সব ধর্মকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে।" মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত লাগার কারণেই নুপূরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন বিধায়ক পুত্রের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার বিজেপি
এদিকে, নুপূরের মন্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর পরই তাঁর নামে ইরফান শেখ নামে রাজা অ্যাকাডেমির মুম্বই শাখার সচিব এফআইআর দায়ের করেন। তাতে বলা হয়, জ্ঞানবাপী ইস্যুতে নুপূর ইচ্ছা করে হজরত মহম্মদকে বিতর্কে টেনে আনেন এবং কু-কথা বলেন নবী সম্পর্কে। অত্যন্ত কুরুচিকর, আপত্তিকর ভাষার প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ।
এর পর থেকে তাঁকে খুন-ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নুপূর। তবে নেত্রীর মন্তব্যে বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছে মুসলিম সমাজে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যখন বিজেপি সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের কথা বলছে, তখনই মুসলিমদের কাছে দলের সম্মান ডোবালেন নুপূর, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।