শুভেন্দু অধিকারীকে জল্পনার অবসান হল। শেষমেশ বুধবার শুভেন্দু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সাংসদদের প্রকাশ্যে শুভেন্দুর সপক্ষে বিবৃতিও অব্যাহত। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী ২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ দল ছাড়তে চলেছে। এখন প্রশ্নটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সংখ্যাটা কত?
চলতি বছর ২৩ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরই দলের থেকে শুভেন্দুর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নাম না করে দলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু। তবে এর আগে প্রকাশ্যে কখনও কোনও মন্তব্য না করলেও তৃণমূল যুবা গঠনের সময়ই মতপার্থক্যর সূত্রপাত বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। লকডাউনের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সভা-সমাবেশে-মিছিলে তৃণমূল কংগ্রেস বা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুখে আনেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শেষমেশ বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসেন শুভেন্দু।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে বৃহস্পতিবার দিল্লি যাবেন শুভেন্দু। সেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় হাজির থাকেবন তিনি। মনে করা হচ্ছে এমনকী ওই সমাবেশে শুভেন্দুকে সামনে রেখে বেশ কিছু ঘোষণাও করতে পারেন শাহ। এবার মূল প্রশ্ন, তৃণমূলের আর কোন কোন সাংসদ বা বিধায়ক শুভেন্দুর সঙ্গে যোগ রেখে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন? এক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা ও বর্তমানে বিজেপির যুব নেতা তৃণমূল সংগঠন ভাঙতে তৎপর। সূত্রের খবর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সংগঠনে ধ্বংস নামাতে সচেষ্ট একাংশ।
ইতিমধ্যে একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ করছেন। জল্পনা ছড়িয়েছে কমপক্ষে ৫৫ জন বিধায়ক পর্যায়ক্রমে দল ছাড়তে পারেন। শুধু বিধায়কই নয় ৮ জন সাংসদ দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চলেছেন সেই জল্পনাও ছড়িয়েছে। কারণ, সংখ্যাটা ৮ হলে দলবিরোধী আইনের কোপে পড়তে হবে না ওই সাংসদদের। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল সরাসরি শুভেন্দুর পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন