সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটক বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। সেখানে বিজেপির পরাজয় তার এজেন্ডা থেকে দক্ষিণের এই রাজ্যকে দূরে রাখবে। তবে, বিজেপির দাবি যে কর্ণাটকের পরাজয়ে তাদের কোনও মতাদর্শগত সমস্যা হবে না। বরং, বিজেপির যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, তা হল আগামী দিনের রাস্তা। চলতি বছরের শেষের দিকেই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই সব রাজ্যগুলোয় এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবির ভোটের লক্ষ্যে নিজেদের গুছিয়ে তুলতে পারেনি।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাম্প্রতিক তিনটি সিদ্ধান্ত- ১) দিল্লি সরকারের থেকে পরিষেবার লাগাম কেড়ে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় বাতিলের লক্ষ্যে অর্ডিন্যান্স জারি, ২) ২,০০০ টাকার নোট বাতিল, ৩) আইন মন্ত্রক থেকে কিরেন রিজিজুর অপসারণ- সমালোচকদের পাশাপাশি দলের অন্দরেও সমালোচিত হয়েছে। মোদী সরকার অবশ্য এই তিন সিদ্ধান্ত নিয়ে একটাই বার্তা দিতে চেয়েছে। তা হল, সরকার যা চায়, কোনও কিছুই তা করা থেকে সরকারকে রুখতে পারে না।
এর মধ্যে কর্ণাটকের ফলাফলকে তো বিজেপি রীতিমতো ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ কর্ণাটকের ফলাফলকে দেখে সমালোচনার সুরে বলেছেন যে, বিজেপির ৩১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার অর্থ এই ভোট শুধু কংগ্রেসের পক্ষে ছিল না। এই ভোট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু, অনেক বিজেপি নেতার আবার দাবি, এটা তাঁদের দল বা নীতির বিরুদ্ধে রায় নয়। বরং, নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকার জন্যই দল পরাজিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- দিল্লি অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে সমস্বরে প্রতিবাদ চাই, কেজরিওয়াল পাশে চান মমতা, শরদ, উদ্ধবকেও
এই সব বিজেপি নেতাদের দাবি, মানুষ যেহেতু বিজেপির বিরুদ্ধে রায় দেয়নি, তাই দলের কোনও এজেন্ডাকেই বাতিল করা উচিত নয়। বিজেপি কর্মীরা বিশ্বাস করেন যে কর্ণাটকের ফলাফলে কংগ্রেসের বিশেষ উৎসাহিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তার কারণ, এই ফলাফল জাতীয় বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও গণভোট নয়। তাই, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকের নির্বাচনের কোনও প্রভাব পড়বে না।