'মুখে মোদীর নাম আনলেই বন্ধ রাতের খাবার'। মহিলাদের প্রতি এমনই আবেদন করে চমকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শাসক-বিরোধী সব দলই শুরু করে দিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। গতকাল এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেজরিওয়াল নারী ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ তুলে আপকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শনিবার দিল্লিতে 'মহিলা সম্মান সমারোহ' অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমার হাত শক্তিশালী করতে, মহিলাদের সমর্থন আমার বিশেষ প্রয়োজন'। মহিলাদের দায়িত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের বাড়ির সব পুরুষকেও বলতে হবে কেজরিওয়ালকেই ভোট দিতে কারণ আপ সাধারণ মানুষ মহিলাদের জন্য কাজ করে চলেছে'। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'অনেক পুরুষ মোদী-মোদী স্লোগান দিচ্ছেন। আপনার স্বামী যদি মোদী নাম মুখে আনেন তাহলে তাকে সেদিনের জন্য বন্ধ করে দিন রাতের খাবার দেওয়া'।
কেজরিওয়াল আরও বলেন, "আপনার বাড়ির পুরুষদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলুন। তাদের অনেকেই মোদী-মোদী স্লোগান দিচ্ছেন, শুধুমাত্র আপনারাই তাদের সঠিক পথে আনতে পারবেন। আপনার স্বামী যদি মোদী মোদী বলেন, তাহলে তাকে সেদিনের জন্য রাতের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিন। এখন আপনাদের হাতেই দায়িত্ব আপনার স্বামী, ভাই, বাবা এবং এলাকার সকল পুরুষদের বোঝানো যে কেজরিওয়াল সরকার মানুষের জন্য কাজ করছেন সুতরাং মূল্যবান ভোটটি তাঁকেই দিতে হবে"।
ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার এই প্রকল্প নিয়ে কথা তুলছে। তারা বলছে শহরের প্রতিটি মহিলাকে ১০০০ টাকা দেওয়াটা অপচয়! আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনারা কী মহিলাদের জন্য কখনও কিছু করেছেন? কখনও তাদের কোন কিছুতে ছাড় দিয়েছেন? তিনি আরও বলেন, যে 'তাঁর সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনার অধীনে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল মহিলাকে এক হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবে। সরকারের এই প্রয়াস মহিলাদের সত্যিকার অর্থে ক্ষমতা প্রদান করবে'।
এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখন পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের নামে প্রতারণা চলছিল। সব দলই বলে যে তারা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে এবং ক্ষমতায়নের নামে তারা তাদের দলের একজন নারীকে কিছু করে দিয়ে বলে যে নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে'। তিনি বলেন, 'সকল মহিলাদের হাতে টাকা থাকলেই হবে সেটা প্রকৃত অর্থে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে। এতে শুধু তাদের পরিবারই শক্তিশালী হবে না, সমাজ ও দেশও শক্তিশালী হবে'।