'বিহারীবাবু' শত্রুঘ্ন সিনহাকে 'বহিরাগত' বলে দুষেছিল বিজেপি। তুমুল লড়াই দিতে গেরুয়া গড়ের উপনির্বাচনে প্রবল ছোটাছুটি করেছিলেন অগ্নিমিত্র পাল। কিন্তু, গত দু'বারের জেতা আসনেই ধরাশায়ী পদ্ম। শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে প্রথমবারের জন্য শুধু জোড়া-ফুলই ওড়ালেন না, জিতলেন রেকর্ড ভোটে। 'বিহারীবাবু'র জয়ের মার্জিন ২.৯৬ লাখ। পরাজয়ের পরই দলকে বার্তা দিলেন অগ্নিমিত্রা। টুইটে জুড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। কথা দিলেন, হারলেও বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াইয়ে তাঁর লড়াই জারি থাকবে।
আসানসোলে ঘরের মেয়ের বড় হার। নিঃসন্দেহে যা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। জানেন অগ্নিমিত্রা। গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়েই এ দিন বিজেপি প্রার্তী বলেন, 'এটাকে একটা স্টেপিং স্টোন হিসাবে দেখে আমাদের ২০২৪ এর জন্য তৈরি হতে হবে। শুধু আসানসোলে নয় সব জায়গায়। এত সন্ত্রাস। কিন্তু এই সন্ত্রাস থাকবেই। তৃণমূল মানেই ছাপ্পা, মানুষ খুন। কিন্তু এটার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কিছু করতে গেলে তৃণমূলের এই সন্ত্রাসকে ছাপিয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্ত করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।'
উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। পরাজয়ের পর অবশ্য 'রিগিং' অভিযোগকে ঢাল করতে চান না বলে দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, 'আমি বলব না যে রিগিং হয়েছে, সেই জন্য হেরেছি। মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বর, জামুরিয়াতে সাংঘাতিক লিড পয়েছি। কিন্তু সর্বত্র আমাদের লোকরা ভোট দিতে বের হননি।’ অর্থাৎ কার্যত দলের নেতাদের জনসংযোগের অভাব, সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করলেন অগ্নিমিত্রা, সতর্ক করলেন বিজেপিকে।
এরপরই টুইটে প্রধানমন্তীর মোদীকে ট্যাগ করেন অগ্নিমিত্র। লেখেন, 'সরি নরেন্দ্র মোদী স্যার। আমার সর্বোত্তম চেষ্টা সত্ত্বেও এই আসনটি আপনাকে দিতে পারলাম না। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র রক্ষা করতেই আমার লড়াই। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। স্যার এর বিরুদ্ধে আমার লড়াই জারি থাকবে।'