দেশে এখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লকডাউন দেশে তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনীগুলিকে পাখির চোখ করে 'গৃহবন্দি' জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে ভার্চুয়াল র্যালিতে ভরসা রেখেই বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারপর্ব চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বিজেপির এই ধরণের ভার্চুয়াল র্যালির বিরোধিতা করল বিহারের বিরোধী পক্ষ।
আরজেডি, সিপিআই, সিপিআই (এম), এনসিপি, বিএসপি-র মতো দলের তরফে বলা হয় নিজেদের 'সম্পদ'-কে ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচন বিধিকে ভঙ্গ করছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। ২৬ জুন বিহারের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে এই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছে বিহারের বিজেপি বিরোধী শিবির।
যদিও ভার্চুয়াল র্যালির বিষয়ে বৈঠকে মুখে কুলুপ আঁটে বিজেপির 'মিত্র' জেডি (ইউ)। জেডিইউ দলের মুখপাত্র বলেন যে বিরোধীরা নিজেদের বক্তব্যর বিরোধিতা করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বিরোধীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিটি বুথে ৭০০ জনের উপস্থিতের কথা বলছেন, এর ফলে বেশি জন থাকলে স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে। অথচ আবার ডিজিটাল প্রচারের বিরোধিতা করছেন। তবে এই বৈঠকে এনডিএ-এর পক্ষ থেকে এলজিপি ডিজিটাল প্রচারের বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি।
জানা গিয়েছে করোনা অতিমারির মধ্যেই বিহারের নির্বাচন সারবে নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে কমিশন ইতিমধ্যেই আইনমন্ত্রকের সঙ্গে কোভিড-আক্রান্ত রোগীদের ডাক (পোস্টাল) ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা এগিয়েছে।তবে এখনও পর্যন্ত ডিজিটাল প্রচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনও বিরোধিতা করেনি। প্রসঙ্গত, গত মাসে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, বিহারের নির্বাচনের সময় “দলগুলিকে ভার্চুয়াল সমাবেশ ও সোশাল মিডিয়ার প্রচারের উপর নির্ভর করতে হবে”।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন