এরাজ্যে মিমের একাধিক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেছেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার রাজ্যের আরেক মন্ত্রী মলয় ঘটককে পাশে বসিয়ে ব্রাত্য বলেন, "এআইএমএমের পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় স্তম্ভ, সব থেকে বড় মুখ। যিনি এ রাজ্যে মিমের ভিত সেই আনোয়ার হোসেন পাসা সহ রাজ্যের নানা জেলা থেকে মিমের একাধিক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এই সরকারের কাজে ও উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়ে মিমের রাজনীতিতে বিতশ্রদ্ধ হয়ে এঁরা সবাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।" তৃণমূলে যোগ দেওয়া মিমের বাংলার নেতৃত্বের তালিকা পড়ে শোনান ব্রাত্য বসু।
কে এই মিম নেতা আনোয়ার পাসা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার এআইএমআইএম নেতা সৈয়দ জামিরুল হাসান। জামিরুল হাসান বলেন, "আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। দল ৬ মাস আগেই আনোয়ার সহ অন্যদের সাসপেন্ড করেছে। এঁরা এখন মিমের কেউ নয়। তাছাড়া এদিন তৃণমূলের অনেকেই মিমের নাম করে তৃণমূল ভবনে গিয়েছে। মিমের সবাই তৃণমূলে চলে গিয়েছে এটা একেবারেই ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এই রাজনীতি ঠিক নয়।"
এদিকে জামিরুল হাসান মিমের তেমন কোনও নেতা নয় বলে পাল্টা দাবি করেছেন আনোয়ার পাসা। জামিরুল উড়োজাহাজে মাঝে-মধ্যে হায়দ্রাবাদ যান, দাবি পাসার। তারাই যে এরাজ্যে প্রকৃত মিমের নেতৃত্ব সেকথা জোর দিয়ে বলেন আনোয়ার হোসেন পাসা। পাসার জবাব, "জামিরুল হোসেনকে কেউ চেনে না। উনি একজন শিল্পপতি। উনি একবছর হয়েছে দলে এসেছেন। আনোয়ার হাসান পাসাকে সকলে চেনে।। সারা বাংলায় আমরা মাটিতে থেকে সংগঠনের কাজ করেছি। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে সার্বিক শক্তি দিয়ে ঝাঁপাব। এরাজ্যে বিজেপিকে রুখবই। বিহার হতে দেব না।"
আরও পড়ুন- এআইএমআইএম-র নজরে বাংলা, আশার আলো গেরুয়া শিবিরের
সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা ঘেঁষা পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে এমআইএম। এই জয়ের পর দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েসি পশ্চিম বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। এরাজ্যে মিমের নেতৃত্বও জানিয়ে দেয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জোট না করলে একক ভাবে লড়াই করবে। বিহারের ফলাফল ও এই ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি তৃণমূল নেতৃত্ব মিমের একাংশের সঙ্গে বৈঠকে বসে। তারপর এদিন তৃণমূল ভবনে মিমের প্রায় সবাই তাদের দলে জয়েন করেছে বলে দাবি করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন