মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে টালমাটাল অব্যাহত। সোমবার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর তরফে জিতেন্দ্র আওহাদ বিধানসভার স্পিকারকে জানিয়েছেন শপথগ্রহণকারী মন্ত্রীরা বাদে বাকি এনসিপি বিধায়করা বিরোধী আসনে বসবেন। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা শরদ পাওয়ারের দ্বারস্থ হলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। কয়েকদিন আগেই তিনি অনুগামীদের নিয়ে একনাথ শিণ্ডের সরকারে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, এখনও অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির যথেষ্ট সংখ্যক বিধায়কদের ভাঙাতে পারেননি। যার ফলে দল ভাঙানোর অভিযোগের মুখে পড়তে পারেন অজিত ও তাঁর অনুগামীরা।
এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বাদল অধিবেশনে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ জানাতে চলেছে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী। এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সদলবদলে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে গিয়ে দেখা করলেন অজিত পাওয়ার। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে তাঁর ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জোটবদ্ধ থাকার আবেদন জানিয়েছেন। মুম্বইয়ের ওয়াইবি চ্যাবন ভবনে বৈঠকের পরে, এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি জানান যে, তাঁরা শরদ পাওয়ারের কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন। পাশাপাশি, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্যও তাঁরা শরদ পাওয়ারের কাছে অনুরোধ করেছেন।
এই ব্যাপারে প্রফুল প্যাটেল বলেন, 'আমরা স্বেচ্ছায় এবং তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট না-নিয়েই এসেছি। আমরা শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং অদূর ভবিষ্যতে আমাদের নির্দেশ দিতে। তিনি এর জবাব দেননি। আমরা অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে আগামিকাল থেকে বিধানসভা অধিবেশনে অংশ নেব।' বৈঠকে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী থেকে জিতেন্দ্র আওহাদ এবং জয়ন্ত পাটিলও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের জয়ন্ত পাতিল বলেন, 'এনসিপির মন্ত্রীরা দল ভাঙার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা পাওয়ার সাহেবকে সংগঠনের দখল নিয়ে লড়াই থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, তিনি তাঁদের অনুরোধের কোনও জবাব দেননি।'
আরও পড়ুন- চরম বিপদের আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, তারপরও কীভাবে চলছে অ্যাসপার্টাম ব্যবহার?
এর আগের দিন অজিত পাওয়ার এনসিপিতে তাঁর গোষ্ঠীর মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যাঁরা এখনও আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, 'তিনি (অজিত) বলেছেন যে যেহেতু আমরা এখন ক্ষমতায় আছি, তাই শরদ পাওয়ারের সাথে থাকা এনসিপি বিধায়কদের সমালোচনা হবে। তা সত্ত্বেও, আমাদের একইভাবে সরকারপক্ষ হিসেবে তাদের (শরদ পাওয়ারের অনুগামী বিধায়কদের) আক্রমণ করার দরকার নেই। পরিবর্তে, আমরা যাঁদের সঙ্গে এত বছর ধরে কাজ করেছি, সেই সব বিধায়কদের আক্রমণ না-করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।'