মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভোলবদল। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা অজিত পাওয়ার রবিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। তিনি একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগ দিলেন। বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিসের সঙ্গে অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। পাওয়ার ছাড়াও এনসিপির আরও আট জন বিধায়ক মহারাষ্ট্র সরকারে যোগদান করেছেন। তাঁরা হলেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, হাসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুণ্ডে, ধর্মোবাবা আত্রম, অদিতি তাটকরে, সঞ্জয় বানসোডে এবং অনিল পাতিল।
Advertisment
महाराष्ट्रातील जनतेची इच्छा, राष्ट्रवादी काँग्रेस पक्षातील सहकाऱ्यांचा पाठिंबा, विश्वासाच्या बळावर आज राज्याचा उपमुख्यमंत्री म्हणून पद व गोपनीयतेची शपथ घेतली. माझ्या या पदाचा उपयोग जनतेच्या कल्याणासाठी, महाराष्ट्राच्या विकासासाठी होईल असा विश्वास देतो. pic.twitter.com/mvZ2oh7w6u
এই শপথ অনুষ্ঠানের আগে আজ (রবিবার) অজিত পাওয়ারের বাসভবনে এনসিপি নেতাদের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অজিত পাওয়ার এরপরে দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে রাজ্যপাল রমেশ বৈশের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছন। তারপরই পাওয়ার মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। পাওয়ারকে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির মহারাষ্ট্র শাখার প্রধান পদে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার জেরে তিনি অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। এর আগে অজিত পাওয়ার এনসিপির সাংগঠনিক দায়িত্ব চেয়ে বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
Advertisment
এর আগে ২০১৯ সালে অজিত পাওয়ার বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তবে, সেবার অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহ অবশ্য তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। আর, অজিত পাওয়ার বাধ্য হয়ে এনসিপিতে ফিরে আসেন। এবার অবশ্য পরিস্থিতি অন্য। তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেছেন, 'গোটা এনসিপি মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে।' শুধু তাই নয়, দলের নাম ও প্রতীকও তাঁরাই ব্যবহার করবেন। তাঁরা আলাদা করে বিজেপিতে যোগ দেননি। গোটা এনসিপি দলটাই হাত মিলেয়েছে বিজেপি আর একনাথ শিণ্ডের সরকারের সঙ্গে। অর্থাৎ এনসিপি বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগ দিল।
সাংবাদিক বৈঠকে অজিত পওয়ার বলেন, 'এনসিপি মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিয়েছে। নির্বাচনা আমরাই দলের নাম এবং প্রতীক ব্যবহার করব। এই দেশে এবং এই রাজ্যে কী হচ্ছে, তা আমরা সবাই দেখছি। তারপরেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে উন্নয়নকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।'