মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলের রাশ কার হাতে কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে কাকা-ভাইপোর লড়াই। কখনও অজিত পাওয়ার শিবির কিছু দাবি করছে তো কখনও আবার শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর দাবি ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এর মাঝেই বিরাট আপডেট।
অজিত পাওয়ার এনসিপি দলীয় প্রতীকের দাবি আদায়ের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে নির্বাচন কমিশন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি এবং দলীয় প্রতীকের দাবিতে ইতিমধ্যে অজিত পাওয়ারের কাছ থেকে একটি পিটিশন পেয়েছে। অজিত পাওয়ার কমিশনকে জানিয়েছেন, 'দলের ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকেই'। এনিয়ে ইতিমধ্যে কমিশনে হলফনামাও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল ৯ বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধায়কপদ খারিজের বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন।
রবিবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার দু'দিন আগে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা অজিত পাওয়ার ৩০ জুন নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি লেখেন যাতে তার দলকে ‘আসল এনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রবিবার আট এনসিপি বিধায়কের সঙ্গে একনাথ শিন্ডে সরকারে যোগ দিয়েছেন ইজিত পাওয়ার। শারদ পাওয়ারের দল ইতিমধ্যে বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন পত্র জমা করেছেন।
মহারাষ্ট্রে এনসিপির লড়াইয়ের মধ্যে অজিত পাওয়ারের দল 'আসল এনসিপির' নাম এবং প্রতীক দাবি করেছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং দলের নির্বাচনী প্রতীক দাবি করে অজিত পাওয়ারের কাছ থেকে এই মর্মে একটি পিটিশন পেয়েছে। একই সঙ্গে জয়ন্ত পাটিল নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন। যেখানে তারা জানিয়েছেন ৯ বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজের প্রক্রিয়া তারা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন। এবিষয়ে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।