/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Maharastra-Assembly.jpg)
মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগের প্রস্তাব দিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হয়ে থাকার বদলে তিনি দলের সংগঠনে কাজ করতে চান। অজিত পাওয়ার বলেন, 'আমি বহু বছর ধরে দলে কাজ করেছি। বিভিন্ন পদে থেকে কাজ করেছি। আমি বিরোধী দলের নেতার পদ নিতে চাইনি। দলের বিধায়কদের পীড়াপীড়ি করেছিলেন। তাঁদের স্বাক্ষর-সহ চিঠি দিয়েছিলেন। তাই আমি পদটি বেছে নিয়েছি। কিন্তু, এখন আমি বিরোধী দলের নেতার পদ ছেড়ে দিতে চাই।' মুম্বইয়ের সম্মুখানন্দ হলে এনসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে দলের প্রধান শরদ পাওয়ার-সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে একথা বলেন অজিত পাওয়ার।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/NCP-leader-Ajit-Pawar-1.jpg)
অজিত পাওয়ার আরও বলেন, 'আমি অনুরোধ করছি যে এখন দলীয় সংগঠনের একটি পদে কাজ করতে চাই। আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে আমি আপনাকে সেরা কিছু করে দেখাব। আমি যা করতে পারি, তা আমি আপনাকে করে দেখাব। আপনি আমাকে যে পদ দেবেন, আমি তা মেনে নেব। তবে আমাকে দেখাতে দিন যে আমি সংগঠনের জন্য কী করতে পারি।'
অজিত পাওয়ার একথা বলার একমাস আগে, শরদ পাওয়ার দলের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দলীয় কর্মী ও নেতাদের তীব্র প্রতিবাদ ও দাবির পর তিনি তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন। তার একমাস পরে, শরদ পাওয়ার রাজ্যসভার সাংসদ প্রফুল প্যাটেল এবং লোকসভার সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতর যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী, কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?
এসব দেখে অজিত পাওয়ার এখন এনসিপিতে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর দাবি ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন এনসিপি বিধায়কদের জয়ে তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল। সেই সময় তিনি বিলম্ব না-করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই ব্যাপারে অজিত পাওয়ার এনসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, 'আপনারা সবাই জানেন যে আমি কীভাবে মন্ত্রিসভায় কাজ করেছি। আমি যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি হ্যাঁ বা না দিয়ে শেষ করি। ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনেও আমি তেমন ভাবেই কাজ করেছি।'