গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। যার জেরে কংগ্রেসে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল কে অ্যান্টনি। এর দুই মাস পর কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ছেলে বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন।
জানুয়ারিতে, অনিল বিবিসির তথ্যচিত্র সম্পর্কে বলেছিলেন যে, বিজেপির সঙ্গে তাঁর বড় মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বাস করেন যে তথ্যচিত্রটি ভারতের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাত্কারে, তথ্যচিত্র সম্পর্কে তাঁর মতামত জানাতে গিয়ে অনিল বলেছিলেন, 'বিজেপি এবং আমি এমন সত্ত্বা, যাদের মধ্যে গভীর মতপার্থক্য আছে। কিন্তু, যখন জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব-সহ দেশের মূল স্বার্থের কথা আসে, আমি মনে করি আমাদের পক্ষপাতমূলক রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এটা আগুনের সঙ্গে খেলা আর এর খারাপ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকে। তাই আমি বলেছি যে, দেশের সার্বভৌমত্ব সব কিছুর ওপরে।'
কংগ্রেস ছাড়ার আগে অনিল বলেছিলেন যে তিনি দলীয় পদ থেকে সরে যাওয়ার আগে তাঁর বাবা তথা, দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং গান্ধী পরিবারের অনুগত একে অ্যান্টনির সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি নিজের বিশ্বাস এবং বিবেকের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই অনিলই দেশের জন্য কাজ না-করে, একটি পরিবারের জন্য কাজ করার অভিযোগে কংগ্রেস নেতৃত্বকে তোপ দাগেন। এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন কি না, সেই ব্যাপারে জানতে চাইলে অনিল বলেন, 'এটা কোনও ব্যক্তির ব্যাপার না। এটা মতামত এবং ধারণার পার্থক্যের ব্যাপার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছি। আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আগের মতই থাকবে।'
আরও পড়ুন- সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স খারিজ করেছিল কেন্দ্র, পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট, কেন?
অনিল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন বিভাগের অন্যতম জাতীয় সমন্বয়কারী পদে ছিলেন। কিন্তু, তিনি দলের মধ্যে খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেননি। তিনি কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি। এমনকী, জানুয়ারিতে সদস্যপদ ত্যাগের সময় তিনি তিরুবনন্তপুরমের সাংসদকেও ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। গত বছর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় থারুরের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম ছিলেন অনিল কে অ্যান্টনি।