Advertisment

এম জে আকবরের পদত্যাগ সত্যের জয়: কংগ্রেস

কংগ্রেস নেত্রী রাগিণী নায়েক বুধবার অভিযোগ করেছেন, যে মোদী সরকার "নারী বিরোধী", এবং ২০১৪ সালে যেসব মহিলা বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে "প্রতারণা" করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

M J Akbar Resigned as Minister of State for External Affairs: পদত্যাগ করলেন এম জে আকবর

প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী এবং এশিয়ান এজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক এম জে আকবরের পদত্যাগকে "সত্যের জয়" বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি দল এও জানতে চেয়েছে, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী "সাহস করে" হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলবেন কী না। কংগ্রেস নেত্রী রাগিণী নায়েক বুধবার অভিযোগ করেছেন, যে মোদী সরকার "নারী বিরোধী", এবং ২০১৪ সালে যেসব মহিলা বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে "প্রতারণা" করেছে।

Advertisment

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "সময় ফুরিয়ে গিয়েছে মোদীজি। হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা কানে তালা লেগে যাওয়ার মত।" নায়েক আরও বলেন, "এম জে আকবর, যাঁর নামে মোট ৩৬ জন মহিলা অভিযোগ করেছেন, শেষমেশ পদত্যাগ করলেন যখন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি এবার সাহস করে মুখ খুলবেন?"

কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি বলেন, তিনি অভিবাদন জানাচ্ছেন সেইসব মহিলাদের, যাঁরা আকবরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, সরকারের "নির্লজ্জ" অবস্থান সত্ত্বেও। তাঁর বক্তব্য, "এই পদত্যাগ আমাদের আরেকবার বুঝিয়ে দেয় যে সত্যের শক্তি কতটা। ভারতের মহিলাদের শক্তি বৃদ্ধি পাক।"


বুধবার দেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন আকবর। যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে ভারতে শুরু হওয়া হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের জেরে তিনিই প্রথম হাই প্রোফাইল অভিযুক্ত যাঁর বিরুদ্ধে কোনোরকম প্রকাশ্য পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়া গেল। এদিকে মূল অভিযোগকারিণী ও সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে ৬৭ বছর বয়সী আকবরের আনা ফৌজদারি মানহানি মামলার প্রথম শুনানি আজ হতে চলেছে দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে।

মহিলা কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব আকবরের পদত্যাগকে "নৈতিক জয়" আখ্যা দিয়ে বলেন, দলমত নির্বিশেষে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনকে সমর্থন করা জরুরি। টুইটারে এক বার্তায় তিনি জানান, "এম জে আকবরের পদত্যাগ সবার জন্যই একটি নৈতিক জয়। কোনও মানহানির মামলা তা বদলাতে পারবে না। দলমত নির্বিশেষে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনকে সমর্থন করা প্রয়োজন।"

Advertisment