Uttar Pradesh: জিন্না মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সমাজবাদী পার্টির প্রধানকে বিঁধলেন যোগী আদিত্যনাথ, আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং মায়াবতী। সাম্প্রতিক মন্তব্যে মহাত্মা গান্ধি, বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহেরু এবং মহম্মদ আলি জিন্নাকে একাসনে বসান অখিলেশ যাদব। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সরব হয়েছিলেন যোগী থেকে মায়াবতী।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রবিবার সর্দার প্যাটেলের সঙ্গে জিন্নার তুলনা করেছেন এই তুলনা লজ্জাজনক। তালিবানি মানসিকতার পরিচয়। যারা বিভাজনে বিশ্বাস করে।'
একইভাবে সাংসদ এবং মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েসি বলেন, 'অখিলেশ যাদবের বোঝা উচিত ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে জিন্নার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের পূর্বপুরুষরা দুই দেশ তত্ত্ব খারিজ করে ভারতকে বেছে নিয়েছেন।'
বিএসপি প্রধান মায়াবতী আবার বিজেপি-এসপির যোগসাজশের প্রসঙ্গ তুলে অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করেন।
আগামী বছর মহারণ। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। কিন্তু, সেই ভোটে নিজে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন না সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। সোমবার নিজেই এই ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, আসন্ন ভোটে সাইকেল শিবিরের সঙ্গে কোন দলের জোট পাকা তা নিয়েও মুখ খুলেছেন অখিলেশ।
বর্তমানে অখিলেশ আজমগড়ের সাংসদ। এর আগে অখিলেশ আগেও দু’বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২২-য়ের ভোটে অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করেই নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাচ্ছিল সমাজবাদী পার্টি। উৎসাহিত ছিলেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। কিন্তু এ দিন নেতার ঘোষণায় সেই উৎসাহে কিছুটা ভাটা পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে অবশ্য কিছুই খোলসা করেননি মুলায়ম-পুত্র অখিলেশ যাদব।
গতবার কংগ্রেস ও মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে উত্তরপ্রদেশের ভোটে লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু, নির্বাচনী লড়াইতে ভরাডুবি হয় এই জোটের। আসন বাড়িয়ে ভারতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যের ক্ষমতায় বহাল থাকে বিজেপি। এরপরই জোট ভেঙে যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক চুখে যায় অখিলশদের। এমনকী এই হারের দায়ে কংগ্রেসের উপরও ঠেলে দেয় সমাজবাদী পার্টি।
এবার তাই উত্তরপ্রদেশে বিরোধী শিবির কার্যত বিভক্ত। তবে, সমাজবাদী পার্টি জোট করেছে রাষ্ট্রীয় লোক দল বা আরএলডি-র সঙ্গে। জোট নিয়ে এ দিন অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘আরএলডি-র সঙ্গে আমাদের জোট চূড়ান্ত। আসন রফার আলোচনাও শেষ পর্যায়ে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন