বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ভাঙন অব্যাহত কংগ্রেস শিবিরে। প্রার্থীপদ ঘোষণার পরই দল ছেড়েছিলেন এক বিধায়ক। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা ছিলই। জল্পনা সত্যি করে মঙ্গলবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন অ্যালেইক্সো রেজিনাল্ডো লরেন্সো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ঘাসফুলের পতাকা ধরেন তিনি।
Advertisment
বাইশের বিধানসভা ভোটে লরেন্সোর প্রার্থীপদ নিশ্চিত করেছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গতবার জিতে আসা কুরটোরিম আসনই তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। পাশাপাশি গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী পদে বসানো হয়েছিল এই বিধায়ককে। তারপরেও লরেন্সোর এই পদক্ষেপকে ‘স্বার্থপরতা’ হিসেবেই দেখছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি গিরিশ চোড়নকর বলেছেন, ‘কুরটোরিম ব্লক কমিটি বৈঠকে বসে বিকল্প প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবে। আমাদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে।‘
প্রদেশ সভাপতি বিজেপি-তৃণমূলের গোপন আঁতাতের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘বিজেপি, তৃণমূলকে গোয়ায় ঢুকিয়েছে। তাদের রণকৌশল ঠিক করে দিচ্ছে। তাই নিত্যনতুন এই ধরনের নাটক বেশি করে দেখা যাচ্ছে।‘ জানা গিয়েছে, বাইশের ভোটের আগে গোয়া কংগ্রেসে আপাতত হেভিওয়েট মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপসিং রানে এবং বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাত। ইতিমধ্যে মারগাও থেকে কামাতের প্রার্থীপদ চূড়ান্ত করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। এই নির্বাচন লড়বেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেননি প্রতাপসিং।
গত কয়েক মাসের মধ্যে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে একাধিক নেতা-নেত্রীকে দলে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ১৭টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। যদিও বিজেপির কৌশলে সরকার গড়তে পারেনি হাত শিবির। কিন্তু ২০১৯ সালে দলে কলহ বাড়ায়, একসঙ্গে ১০ জন বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। চলতি বছর রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং রবি নায়েক, তৃণমূল এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিধায়ক লরেন্সো। সবমিলিয়ে গোয়া কংগ্রেসে অব্যাহত ঘরভাঙা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন