মোদি-দিদির আঁতাত নিয়ে অভিযোগও করলেন, একইসঙ্গে এরাজ্যে বিজেপির রথ আটকানোর দাবিও জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বৃহস্পতিবার রাণী রাসমনি রোডে সারা ভারত কৃষক সভার রাজভবন অভিযানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একযোগে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমন করেন তিনি। ৩ ডিসেম্বর সিপিএমের ব্রিগেডের জনসভার কথাও কৃষকদের এই সভায় ঘোষণা করেন সূর্যকান্ত। তাঁর দাবি, "তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ব্রিগেডের সভাকে ছাপিয়ে যাবে সিপিএম।" এদিন রাজ্যপালের কাছে শিল্প ও কৃষির দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেয় সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটি।
মিছিল যাচ্ছে রাজভবনের উদ্দেশ্যে। ছবি: শশী ঘোষ
বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ সিঙ্গুর থেকে কৃষক ও ক্ষেতমজুররা শিল্প ও কৃষির দাবিতে পদযাত্রা শুরু করে । শুরু থেকে প্রায় ১৩ হাজারের জমায়েত ছিল বলে দাবি করেছেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ডানকুনি, তারপর বালিঘাট। হাওড়ায় রাত্রী যাপনের পর ফের বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বালিঘাট থেকে রাজভবনের উদ্দেশ্যে মিছিলকারীরা যাত্রা শুরু করেন লালঝান্ডা নিয়ে। এদিন দুপুরে রাণী রাসমনি অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করে কৃষক সভা।
মিছিলে হাঁটছেন কৃষক ও ক্ষেতমজুররা। ছবি: শশী ঘোষ
সভায় সূর্যকান্তবাবু বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ করেন। বিজেপির রথযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির কী সম্পর্ক জানতে বাকি নেই। রথে থাকে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। জগন্নাথ ও বলরাম হলেন অমিত শাহ ও মোদি। বাকি থাকল সুভদ্রা, সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নিন এক রথে।" আঁতাতের অভিযোগ তোলার পরই তিনি বলেন, "যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে রথযাত্রা করতে দেবেন না।"
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কাজের দাবিতে জেলা, মহকুমা ও ব্লক অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। সূর্যকান্তবাবুর পরামর্শ, "স্থানীয় স্তরেই প্রশাসনের দপ্তরে বসে পড়ুন যতক্ষণ না দাবি মানছে। রাজভবনে আসার প্রয়োজন নেই, রাজভবন সেখানে যাবে।" ৩ ডিসেম্বর সিপিএম ব্রিগেডে সভা করবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। সরকারি ভাবে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে বলে সূর্যকান্তবাবু জানান।