ছয় দিনের সফরে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ৩০ মে মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। মার্কিন মুলুকের তিন শহর- সানফ্রান্সিসকো, ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউ ইয়র্কে তিন সফর করবেন। সেখানকার এনআরআই, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি আলাপচারিতা চালাবেন তিনি। রাহুল গান্ধী মার্কিন সফরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় দেশের রাজনীতি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) আমেরিকা পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী এদিন সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত্দের সঙ্গে দেখা করে সেখানে এক ভাষণে তিনি তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি দেশের রাজনীতি নিয়েও তার বক্তব্য পেশ করেন। এই সময় তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির পাশাপাশি আরএসএসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি-আরএসএস’।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশে কিছু মানুষ আছে যারা মনে করে তারা সব জানে। এমনকি ঈশ্বরের চেয়েও বেশি জানেন। রাহুল বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের একজন। যদি মোদীজিকে ঈশ্বরের সঙ্গে বসানো হয়, তাহলে তিনি ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করতে শুরু করবেন’। একই সময় রাহুল তাঁর ভারত জোড় যাত্রার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই যাত্রা সহজ হবে না ‘।
ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা ভাগ করে করে রাহুল বলেন, ‘যখন এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, ৫-৬ দিন পরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই যাত্রা সহজ হবে না। হাজার হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাত্রা শেষ করা খুব কঠিন মনে হয়েছিল, কিন্তু আমার কোন বিকল্প ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি, কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটেছি।তিন সপ্তাহ পর আমি অনুভব করলাম যে আমি আর ক্লান্ত নই। এই যাত্রায় শুধু কংগ্রেসই নয়, ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে গোটা ভারত’। রাহুল আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের ভালো দিক হল আমরা সবার সঙ্গে আছি। কেউ এসে কিছু বলতে চাইলে আমরা তার কথা শুনি।সেটা আমাদের বিরুদ্ধে কিছু হলেও আমরা রেগে যাই না বরং নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি, এটাই আমাদের স্বভাব’।
ভাষণ শেষে রাহুল গান্ধী সেখানে হাজির জনসাধারণের প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করে বলেন, "বিজেপির মিটিংয়ে এমন প্রশ্নোত্তর সিরিজ হয় না।" নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই বিল বিচারাধীন, ভারতে মহিলাদের নিরাপত্তা একটি বড় সমস্যা আমরা যদি মহিলাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিই, মহিলাদের রাজনীতিতে নিয়ে আসি, ব্যবসায় তাদের উৎসাহ দিই, দেই, তাহলে দেশে মহিলাদের ক্ষমতা নিজে থেকেই বাড়বে’।