মারাঠা সংরক্ষণের দাবিতে জ্বলছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ-অশান্তি অব্যাহত। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মারাঠা সংরক্ষণের দাবিতে অন্যতম আন্দোলনকারী মনোজ জারাঙ্গে পাটিল।
মারাঠা সংরক্ষণ ইস্যুতে শুরু হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক। বৈঠকের দিকেই নজর সকলেই। বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বিক্ষোভের আঁচ মুম্বই পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। শিবসেনার রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় রাউত লিখেছেন 'সরকার ব্যার্থ। মহারাষ্ট্র জ্বলছে এবং তারা রাজনীতি করতে ব্যস্ত'।
মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে মহারাষ্ট্রে তোলপাড় চলছে। রাজ্য জুড়ে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এবার নান্দেদে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সামনে এসেছে। মারাঠাদের সংরক্ষণের দাবিতে ক্রমে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে মহারাষ্ট্র। আন্দোলনকারীদের রাস্তা, রেল অবরোধের জেরে অচল হয়ে পড়েছে রাজ্যের একাধিক শহর। বেশ কিছু বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এর মাঝেই আজ সর্বদলীয় বৈঠক চলছে। শাসক দলের নেতাদের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন শরদ পাওয়ারও। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আজকের এই বৈঠকে। এদিকে, এই ইস্যুতে সংসদের একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী সাংসদরা। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠিও দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
সংরক্ষণ আন্দোলনের আগুন মুম্বই পর্যন্ত পৌঁছেছে। বুধবার সকালে এখানে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে আজ সংরক্ষণ ইস্যুতে কোন সিদ্ধান্ত না নিলে তারা জল তিনি জল পান বন্ধের হুমকি দিয়েছেন শিন্ডে সরকারকে। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে এরপর যা ঘটবে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে'।
এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। এ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিবসেনা (ইউবিটি) বলেছে যে উদ্ধব ঠাকরে এবং তার সমর্থক বিধায়কদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শিবসেনা (ইউবিটি) রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় রাউত তার এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন। রাউত লিখেছেন, 'এমন একটি দলকে ডাকা হয়েছে যার কোনও বিধায়ক নেই, যেখানে আমাদের ১৬ জন বিধায়ক এবং ৬ জন সাংসদ রয়েছে। মহারাষ্ট্র জ্বলছে এবং আর শিণ্ডে সরকার রাজনীতি করতে ব্যস্ত'।