কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু একসুতোয় বেঁধে দিল রাহুল-মোদীদের। জঙ্গি নাশকতায় ৪০টি তাজা প্রাণকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল গোটা দেশ। সন্ত্রাস দমনে মোকাবিলা করতে সকলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মোদী। দেশের এই অবস্থায় সরকারের পাশেই তাঁরা রয়েছেন বলে শুক্রবার বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সন্ত্রাস দমনে সব রাজনৈতিক দলই এবার একজোট হয়ে মোকাবিলা করবে, এমন অঙ্গীকার নেওয়া হল শনিবারের সর্বদল বৈঠকে।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে ফের বিস্ফোরণ, নিহত কমপক্ষে ১
বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, ‘‘আমরা সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছি। কাশ্মীর হোক বা দেশের অন্য কোথাও, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সরকারের পাশে আছে কংগ্রেস।’’ এদিন সর্বদলীয় বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, শিব সেনার সঞ্জয় রাউত, টিআরএসের জীতেন্দ্র রেড্ডি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লা, এলজেপি-র রামবিলাস পাসোয়ান, অকালি দলের নরেশ গুজরাল, আরএলএসপি-র উপেন্দ্র কুশওয়াহা ও জয়প্রকাশ নারায়ণ যাদব।
আরও পড়ুন, পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’-এর তকমা প্রত্যাহার ভারতের
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-এ-মহম্মদ। হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন, ‘‘জঙ্গিদল ও তাদের মাস্টাররা বিরাট বড় ভুল করল। এজন্য বিরাট মূল্য চোকাতে হবে। দোষীরা ছাড় পাবে না। কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’ কাশ্মীরে হামলার পরই পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভারড নেশন-এর তকমা কেড়ে নিয়েছে ভারত।
Read the full story in English