টিডিপি সুপ্রিমো তথা অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন টিডিপির নেতা-কর্মীরা। যাঁদের সামলাতে অন্ধ্রের বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও টিডিপি কর্মীদের অন্ধ্রজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বনধ পালন করাচ্ছেন। সেসব রুখতে এবার আরও কঠোর হল অন্ধ্র প্রশাসন। গৃহবন্দি করা হল টিডিপির ২১ জন বিধায়ককে। পাশাপাশি, অন্ধ্রজুড়ে বহু টিডিপি কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৪-১৯ সালে তাঁর সরকারের আমলে বহু কোটি টাকার এপি স্টেট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার ভোরে অন্ধ্র সিআইডি চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিজয়ওয়াড়ার একটি দুর্নীতিদমন ব্যুরো (এসিবি) আদালত নাইডুকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরে চন্দ্রবাবু নাইডুকে বিজয়ওয়াড়া থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজামুন্দ্রি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে টিডিপি প্রধানের গ্রেফতার অন্ধ্রের রাজনীতিকে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত করে তুলেছে। দল এটিকে ওয়াইএসআরসিপি সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' বলে অভিযোগ করেছে। নাইডু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে জগনের সঙ্গে বারবার বিরোধে জড়িয়েছেন।
রবিবার রাতে, টিডিপি সোমবার অন্ধ্র বনধের ডাক দিয়েছিল। নাইডুর গ্রেফতারির বিরোধিতা করার জন্য অন্ধ্রজুড়ে দলীয় কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি কে আতচানাইডু। তিনি বলেন, 'এই গ্রেফতার বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা গণতন্ত্রকে সমর্থন করেন, তাঁদের প্রতিবাদ জানাতে বেরিয়ে আসা উচিত এবং বনধকে সফল করা উচিত।'
যাইহোক, পুলিশ যেহেতু বিপুলসংখ্যক রাজ্য এবং জেলাস্তরের টিডিপি নেতাদের গৃহবন্দি করে রেখেছে, টিডিপি এখনও পর্যন্ত ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ দেখাতে পারেনি। গৃহবন্দি ২১ টিডিপি বিধায়ক যাতে বাড়ি থেকে বেরোতে না-পারেন, সেজন্য তাঁদের বাড়ির বাইরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজ্ঞানে ফের তাকলাগানো সাফল্য বাঙালির! ভাটনগর পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় চার বঙ্গসন্তান
পাশাপাশি, শহরগুলোতে পুলিশ কমিশনার এবং জেলাগুলোতে সুপারিনটেনডেন্টরা সমাবেশ এবং মিছিল নিষিদ্ধ করেছেন। বিক্ষোভ দমন করতে অন্ধ্রজুড়ে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যেই নাইডুর গড় বলে পরিচিত কুপ্পাম থেকে বড়সড় প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে। এই কুপ্পাম থেকেই ১৯৮৯ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।