আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (২০২৪), বিজেপি যদি ভাবে যে তারা একাই খেল দেখাবে, তবে 'ভুল হবে'। কারণ, আগামী নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলো 'স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ' ভূমিকা নিতে চলেছে। এমনটাই মনে করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ৯০ বছর বয়সি এই অর্থনীতিবিদ জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু, তিনি বিজেপির কাজে তৈরি হওয়া হতাশার বিরুদ্ধে দেশের শক্তিকে তুলে ধরতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অমর্ত্য সেন বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে, বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তার মধ্যে ডিএমকে রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি আছে। সংখ্যাটা আরও বাড়বে কি না, আমি জানি না।' সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন আরও বলেন, 'বিজেপির জায়গা কেউ নিতে পারবে না, এমনটা মনে করাটা ভুল হবে। কারণ, বিজেপি দেশের বাকি অংশের চেয়ে হিন্দুদের দিকেই বেশি ঝুঁকেছে।'
অমর্ত্য সেনের এই ভাবনা যে কতটা সঠিক, সম্প্রতি তার প্রমাণ পেয়েছে দেশবাসী। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড)-সহ বেশ কয়েকটি দলের নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস-সহ একটি নতুন জোটের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিরোধী জোট তৈরি করে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
আরও পড়ুন- ফের ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, গুঁড়িয়ে গেল অত্যাবশ্যক পরিষেবার কেন্দ্র
সেই চেষ্টাকেই কার্যত স্বীকৃতি দিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, 'বিজেপি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সংকুচিত করেছে। এটি কেবলমাত্র হিন্দু ভারত এবং হিন্দিভাষী ভারত হিসেবে ভারতের ভাবনাকে এমন সংকুচিত করেছে যে আজ ভারতে বিজেপির বিকল্প না-থাকলে, তা দুঃখজনক হবে। যদি বিজেপিকে শক্তিশালী মনে হয়, তবে তার দুর্বলতাও আছে। আমি মনে করি, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও চেষ্টা করলে অবশ্যই ক্ষমতায় আসতে পারবে। বিরোধী দলগুলো জোট গড়লে বিজেপি আদৌ হারাতে পারবে কি না, আমি সেটা এখনও জানি না।'
Read full story in English