রাজ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্তি অব্যাহত। এবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে গোলমালে রক্ত ঝরল। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ১৫ জন। জখম ৭জনকে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে গোলমাল বাধে। একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে। সংঘর্ষের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে তারাবেড়িয়া, মরিচা ও বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও। এ ঘটনার জেরে আপাতত ওই তিন গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত করা হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত নাসির হালদার ও কুদ্দুস গনি দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অন্যদিকে, সংঘর্ষে আরেক নিহত মুজাফ্ফর আহমেদ তাঁদের কর্মী বলে দাবি করেছে সিপিএম। সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘‘গুলি-বোমাবাজি চলে, যার জেরেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা এলাকায় পুলিশের তরফে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।’’ ইতিমধ্যেই এলাকা থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন,পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল ও সিপিএমকে সমর্থন করব: মালদা কংগ্রেস
সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও খবর। বহু বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। বোমাবাজি ও গুলি চলায়, বহু মানুষ ঘরছেড়ে আতঙ্কে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই এ রাজ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই, উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে গোলমালের খবর এসেছে।