কৃষক আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়ল পাঞ্জাবের পুরভোটে। শাসকদল কংগ্রেস একের পর এক পুর নিগমে জয় পেল বুধবার। ধরাশায়ী বিজেপি। আবোহার, ভাটিন্ডা, কাপুরথালা, হোসিয়ারপুর এবং পাঠানকোট পুরনিগমে জয় লাভ করেছে কংগ্রেস। বাটালা, মোগা ও মোহালির ফলাফল বের হতে বাকি আছে। আটটির মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে কংগ্রেস। কৃষক আন্দোলনের জেরেই বিজেপির এমন ভরাডুবি বলছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন সকালে ১০৯টি পুরসভা এবং ৮টি পুরনিগমের ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ৭১ শতাংশের মতো ভোট পড়েছিল। এবারের পুর নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কৃষক আন্দোলনের জন্য। ভারতের যেকটি রাজ্যে আন্দোলন চলছে তার মধ্যে প্রধান হল পাঞ্জাব। দিল্লি সীমান্তে সবচেয়ে বেশি পাঞ্জাব থেকেই কৃষকরা অংশ নিয়েছেন। তার যে একটা প্রভাব এই নির্বাচনে পড়বে তা আন্দাজই ছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে মূল লড়াই ছিল বিরোধী দল শিরোমণি অকালি দলের। এনডিএ জোট থেকে অকালিরা বেরিয়ে যাওয়ায় পাঞ্জাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বিজেপি। তার উপর খাঁড়ার ঘা কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। আরেক দল আম আদমি পার্টি অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে।
শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, মোহালি জেলায় কুরালি, বানুর, লালরু, ডেরাবাসি পুরসভায় জিতেছে কংগ্রেস। অকালিদের দখলে গিয়েছে নয়াগাঁও। জিরাকপুর ও খারারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে দুই দলের। প্রায় দুদশক পর আলাদা আলাদা লড়াই করছে অকালি দল ও বিজেপি। তাই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস বিরোধী ভোট অকালি ও বিজেপির মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ায় সুবিধাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন