মহারাষ্ট্রে মহা-সঙ্কটের মধ্য়েই কোভিডে আক্রান্ত রাজ্যপাল। এবার কোভিড পজিটিভ হলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই রাজ্যের দুই সাংবিধানিক প্রধান চলে গেলেন নিভৃতবাসে। ঝুলে রইল জোট সরকারের ভাগ্য।
এদিন প্রথমে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। আজ, সঙ্কটময় পরিস্থিতির মধ্যেই বেলা একটায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন উদ্ধব। কিন্তু তার মধ্যেই খবর এল, তিনিও করোনার কবলে। সূত্রের খবর, ভার্চুয়ালি এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন বালাসাহেব-পুত্র। অন্যদিকে, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যপাল।
কংগ্রেসের তরফ মহারাষ্ট্রে পরিষদীয় দলের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে প্রবীণ নেতা কমল নাথকে। তিনিই এদিন উদ্ধবের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। সাংবাদিক বৈঠকে জানান, "আমরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছি। কিন্তু তাঁর করোনা হওয়ায় আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি।" রাজ্যপাল কোশিয়ারি দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন বিদ্রোহের আঁচ পেয়ে আগেই সতর্ক করেন পওয়ার, পাত্তাই দেননি উদ্ধব
ডামাডোলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন রাজ্যপাল। বিধানসভার জরুরি অধিবেশন বা বিধানসভা ভাঙার সিদ্ধান্ত তিনিই নেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাব, আস্থা ভোট, সরকার গঠন সবেতেই তাঁর মুখ্য ভূমিকা থাকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি এই মুহূর্তে অনুপস্থিত। তাই সরকারের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিদ্রোহীদের মানভঞ্জনে কী করে সরকার এখন সেটাই প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে শাসকজোটের নেতৃত্বে থাকা শিবসেনার রয়েছে ৫৫ জন বিধায়ক, এনসিপির ৫৩ জন এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য চাই ১৪৪ জন বিধায়ক।