লালগড়ে সভা করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে ফিরে আসতে হল শুভেন্দু অধিকারীকে। ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তারপর লালগড় থানার পুলিশ বাধ্য হয়ে শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের সরিয়ে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সভা না করেই ফিরে যান বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার লালগড়ের রামগড়ে সভা ছিল বীরবাহার। সূত্রের খবর, সভার জন্য আগে তেকেই অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দু সভা করার জন্য কোনও রকম অনুমতি নেননি। সেই কারণে শুভেন্দু রামগড়ে পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান বীরবাহা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি অনুমতি ছাড়াই এখানে সভা করছিল। এই অরাজকতা চলবে না।
বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুফান মাহাতোর দাবি, সভার জন্য আগেই আবেদন জানানো হয় পুলিশকে। এদিন ঝাড়গ্রামে আরও দুটি সভা করলেও রামগড়ের সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নোংরামির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এদিকে, শুভেন্দু সভাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজনা বাড়ে। স্থানীয়দের নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়ান বীরবাহা। তৃণমূলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়, বিনা অনুমতিতে সভা করছে বিজেপি। কমিশনের এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সভা বন্ধ করে দেন।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ চালিয়ে যান বীরবাহা। পুলিশের আশ্বাসে পরে তিনি অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেও শুভেন্দু সভা না করে যেতে রাজি হননি। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একচোট বাকবিতণ্ডা হয় শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের। বিজেপি নেতার অভিযোগ, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে তৃণমূলকে জেতানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সভা না করেই চলে যান শুভেন্দু।