রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে আর দেখা নাও যেতে পারে অমিত মিত্রকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, নভেম্বরেই হয়তো ইস্তফা দেবেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার দরুন একুশের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি অমিত মিত্র। বর্তমানে তিনি বিধায়ক নন। তবুও তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে তাঁকেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক নন এমন কেউ মন্ত্রী হলে নিয়ম অনুসারে তাঁকে শপথের ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিতে বিধানসভার সদস্য হতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হয়। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে আর ভোটে লড়াই করতে রাজি নন অমিতবাবু। অর্থাৎ, নভেম্বরে তৃতীয় মমতা সরকারের ছয় মাসের মেয়াদ শেষের মধ্যেই মন্ত্রীত্ব থেকে সরে যাবেন ৭৪ বছর বয়সী অমিত মিত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসক শিবিরেরে এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'তৃতীয় মমতা সরকারের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৪ঠা নভেম্বর। বিধায়ক না হওয়ায় অর্থমন্ত্রী হিসাবে অমিত মিত্রের মেয়াদও ওই দিন পর্যন্তই। অমিতবাবু দলকে জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এরপর আর মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালনে রাজি নন তিনি।'
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর দৌড়ঝাঁপ, এখনও তৃণমূলে পদ-হীন মুকুল
এপ্রসঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর, আপাতত অর্থ দফতর থেকে অমিত মিত্রকে ছাড়তে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি একান্ত রাজি না হলে কে হবেন আমিত মিত্রের উত্তরসুরী? এখন তা খুঁজতে ব্যস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব।
ভোটের আগে থেকেই অসুস্থ অমিত মিত্র। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ও ভোটের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সময় অনুপস্থিত ছিলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। এবার রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বাণিক সংগঠন ফিকির (FICCI) সেক্রেটরি জেনারেল ছিল অমিত মিত্র। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের নীতি-নির্ধারক দলের সদস্য তিনি। পরে ২০১১ সালে তৃণমূল পশ্চিবঙ্গের ক্ষমতায় এলে অমিত মিত্রকে অর্থ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে গুরু দায়িত্ব পালনের দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তিনি। ২০১৪ সালে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি শিল্প দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন অমিতবাবু।
Read In English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন