Advertisment

দিল্লি বিপর্যয়ে বিজেপি নেতাদেরই ‘দুষলেন’ শাহ

তাহলে কি দিল্লি ভোটে বিজেপির ধরাশায়ী চেহারা সামনে আসার পর সুরবদল অমিত শাহের? এমন প্রশ্নই উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
amit shah, অমিত শাহ

অমিত শাহ। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভাঙলেন অমিত শাহ। দিল্লি ভোটের ফলপ্রকাশের তিন দিন পর দলের ‘বিপর্যয়’ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। দিল্লি ভোটের ফলে দলের ভরাডুবির জন্য দলের নেতাদেরই কার্যত কাঠগড়ায় তুললেন মোদী সেনাপতি। বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই দিল্লির মানুষ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন, এমন উপলব্ধির স্বরই শোনা গিয়েছে শাহের গলায়।

Advertisment

বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে টাইমস নাও সামিটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোলি মারো’ ও ‘ইন্দো-পাক ম্যাচ’ মন্তব্য করা উচিত হয়নি। একইসঙ্গে শাহ বলেন, বিজেপি এ ধরনের মন্তব্য থেকে দূরে থাকে। তাহলে কি দিল্লি ভোটে বিজেপির ধরাশায়ী চেহারা সামনে আসার পর সুরবদল অমিত শাহের? এমন প্রশ্নই দানা বাঁধছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন: ‘গোলি মারো’ স্লোগানধারী গেরুয়া নেতাদের মুখে কুলুপ

প্রসঙ্গত, দিল্লি ভোটের প্রচারে অনুরাগ ঠাকুর, পরবেশ ভার্মার মতো বিজেপি নেতাদের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের নিশানা করে সরব হন মোদী-শাহরাও। দিল্লি ভোটের ফলে ৬২টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে কেজরিওয়াল সরকার। বিজেপির ঝুলিতে আসন বাড়লেও ফল খারাপ হয়েছে। দিল্লি ভোটের ফল প্রকাশের পরই নীরব ছিলেন অমিত শাহ। শেষমেশ এদিন বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে যে সুর শোনা গেল শাহের গলায় তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সিএএ বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। সিএএ ইস্যু নিয়ে আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করতে চাইলে আমার অফিস থেকে সময় চাইতে পারেন। তিন দিনের মধ্যে সময় দেব’’।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment