স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন, রাজ্যে ৫০ দিন ধরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর হিংসা নিয়ে ২৪ জুন দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। এদিন বৈঠকে মণিপুরের সামগ্রিজ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। প্রায় দেড় মাস ধরে মণিপুরে হিংসার ঘটনা থামার নামই নিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে। বুধবার (২১ জুন) অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বৈঠকের বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন।
ট্যুইট বার্তা লেখা হয়েছে, "মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৪ জুন বিকাল তিনটেয় দিল্লিতে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।" প্রায় ৫০ দিন ধরে মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তা সত্ত্বেও মণিপুরে হিংসার ঘটনা অব্যাহত”।
মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত সরকারের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৬ জুন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল টুইট করে কেন্দ্রকে এবিষয়ে নিশানা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত কারণ দেশ আজ উত্তর চাইছে’। এর আগে ১৫ জুন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো উচিত বলেও তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: < ‘মোদী প্রেমে’ মজে বাইডেন! চোখ ধাঁধানো সবুজ হিরে উপহার পেয়ে আপ্লূত ‘ফার্স্ট লেডি’ জিল বাইডেন >
বুধবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সেই সঙ্গে রাজ্যে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও বুধবার মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। ১৫ জুন, ইম্ফলের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাসভবন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে নিশানা করেন। তিনি বলেছিলেন যে “রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যেখানে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবন নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়”।
প্রায় দেড় মাস আগে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হয় জাতিগত হিংসা। তফসিলি উপজাতি মর্যাদা দাবি করছে মেইতেই সম্প্রদায়। মেইতি সম্প্রদায়ের এই দাবির প্রতিবাদে গত ৩রা মে, রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি মিছিলকে ঘিরে সংঘর্ষ-এর সুত্রপাত। রাজ্যে হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।