৭০ দিনও হয়নি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন। আর তার মধ্যেই নিজের লক্ষ্যপূরণের পথে পা রেখে একের পর এক সাফল্যের মুখ দেখছেন মোদী সেনাপতি। দ্বিতীয় মোদী সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী হওয়ার পরই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে বিজেপি-আরএসএসের দীর্ঘদিনের ইচ্ছেপূরণ করেছেন অমিত শাহ। পরের লক্ষ্য ছিল অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর এখন সেই স্বপ্নপূরণের দোড়গোড়ায় শাহ। সুপ্রিম রায়ের পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণই এখন মোদী সেনাপতির প্রধান গুরুদায়িত্ব। পাশাপাশি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) বাস্তাবায়িত করাও অন্যতম লক্ষ্য শাহের। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে এখনই আগ্রাসী হবে না সংঘ পরিবার
গত শনিবার অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিতর্কিত জমি হিন্দুদের। আর সেই জমিতেই রাম মন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রকে ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গড়তে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে ট্রাস্ট তৈরি করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের স্বপ্নপূরণ করলে শাহর মুকুটে নিঃসন্দেহে নয়া পালক জুড়বে বলেই মত রাজনীতির কারবারীদের একাংশের।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনা সাংসদদের
উল্লেখ্য, বিপুল ভোট পকেটে নিয়ে দ্বিতীয় বার দেশের ক্ষমতায় ফিরেছে মোদী সরকার। মোদী সরকারের প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান কারিগর অমিত শাহই। সেইমতো মোদীর মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন শাহ। এরপর থেকেই একের পর এক স্বপ্ন পূরণে মরিয়া হয়েছেন মোদী সেনাপতি। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমেই বাজিমাৎ করেছেন শাহ। এরপর এখন রাম মন্দির নির্মাণ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর মতো বিজেপির দুই অ্যাজেন্ডার বাস্তবায়নই পাখির চোখ শাহর।
Read the full story in English