নামখানার নারায়ণপুরে সুব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে অমিত শাহ। তাঁর মেনুতে আছে ঘি-ভাত, পনির, শুক্তো, ডাল, স্যালাড, রুটি, ভাজা, আলু-ফুলকপির তরকারি, চাটনি, রসগোল্লা, সন্দেশ, পাপড়। এই মধ্যহ্নভোজ সেরে তিনি যাবেন কাকদ্বীপে। সেখানে রোড শোয়ের মাধ্যমে পরিবর্তন যাত্রায় যোগ দেবেন অমিত শাহ। এদিন সকালে আকাশপথে গঙ্গাসাগর নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি পুজো দেন কপিল মুনির আশ্রমে। নামখানায় একটি জনসভার মাধ্যমে রথযাত্রার সূচনা করেন অমিত শাহ। সেই সভা থেকে প্রায় একশো মিটার পথ টোটোয় চড়ে যান সুব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, অমিত ভোজের রান্না ও পরিবেশনের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কোভিড টেস্ট করা হয়। প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই রান্নার কাজে হাত দেন তাঁরা। যদিও সার্বিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী। এদিন মধ্যাহ্নভোজের পর প্রায় মিনিট পনেরো সেই বাড়িতে ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিবারের মহিলা সদস্যদের আবদার মেটাতে তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহকে।
সূত্রের খবর, সুব্রত বিশ্বাসের পরিবার নিম্নবিত্ত মৎস্যজীবী পরিবার। উদ্বাস্তু তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এই পরিবার। নারায়ণপুর গ্রামের অন্য পরিবারও মৎস্যজীবী এবং উদ্বাস্তু। বেশিরভাগ পরিবার বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে পাঁচ-ছ'দশক ধরে এই এলাকায় রয়েছেন। তাই অনেক বাছাই করে সুব্রত বিশ্বাসের পরিবারকে বাছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিজেপি। যেহেতু নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন নিয়ে কোনও দিশা এযাবৎকাল দেখাতে পারেননি অমিত শাহ। যেহেতু সিএ আইন নিয়ে মতুয়া এবং উদ্বাস্তুদের মধ্যে একটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাই সেই অসন্তোষ যাতে বিক্ষোভে রূপ না নেয়। এবং 'আমি তোমাদের লোক, যথাসম্ভব পাশে আছি' এই বার্তা উদ্বাস্তুদের প্রতি দিতে সুব্রত বিশ্বাসের পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ অমিত শাহের। এমনটাই পর্যবেক্ষকদের মত।